ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা দুইজন মৃত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যত ভেঙে পড়ার একদিন পরেই এই মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার জানায়, রেডক্রসের মাধ্যমে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী দুই মরদেহ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো শনাক্তকরণের জন্য ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে যে চুক্তি হয়েছিল, তার আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার শহরাঞ্চল থেকে আংশিকভাবে প্রত্যাহারও সম্পন্ন করে।
তবে ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকাজুড়ে ডজন ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪৬ শিশু এবং ২০ নারী।
চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা নিহত ২৮ জন ইসরায়েলি বন্দির সব মরদেহ ফেরত দেবে, বিনিময়ে যুদ্ধ চলাকালে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হামাস ১৫টি মরদেহ হস্তান্তর করেছে এবং জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে এখনও হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ চাপা পড়ে আছে—তাদের উদ্ধার করতে যথাযথ সরঞ্জাম ও সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে হামাস অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
 
                            
                             
                                                                                                
 
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                    
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন