‘হেভি মেটাল’ সংগীতপ্রেমী জাপানের নারী প্রধানমন্ত্রী, জানুন চমকপ্রদ কিছু তথ্য

gbn

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি। তিনি অতিরক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে তিনি ‘হেভি মেটাল’ সংগীতের ভক্ত। জাপানের সংসদ মঙ্গলবার তাকাইচিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে।

 

প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাকাইচি নিজেও থ্যাচারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে থাকেন। তাকে প্রায়ই নীল রংয়ের স্যুট পরতে দেখা যায়। এটি থ্যাচারের প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধার নিদর্শন।

 

কয়েক সপ্তাহ আগে তাকাইচি দেশটির শাসক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। গত সাত দশকের বেশির ভাগ সময়ই জাপানে ক্ষমতায় থাকা এই দলটি বর্তমানে আরো ডানপন্থায় ঝুঁকে গেছে। 

৬৪ বছর বয়সী তাকাইচিকে নিয়ে কান্দা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর প্রভাষক জেফরি হল বলেন, ‘তিনি জাপানের রক্ষণশীল এলডিপি’র মধ্যেও অন্যতম রক্ষণশীল ব্যক্তি।’ তাকাইচি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতির পক্ষে কথা বলেছেন।

চীনের বিষয়েও কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

 

শুধু কঠোর রাজনীতির মধ্যেই নয়, তাকাইচির একটি ভিন্ন দিকও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি একটি ব্যান্ডে ড্রাম বাজাতেন। ডিপ পার্পল ও আয়রন মেইডেন তার প্রিয় ব্যান্ডদল। একবার জাতীয় টেলিভিশনে একটি রক গানও গেয়েছেন তিনি।

মোটরসাইকেল ও গাড়ির প্রতিও তার গভীর ভালোবাসা রয়েছে।

 

জেফরি হল বলেন, ‘এই সবই তার ব্যক্তিত্বের অংশ। তিনি শুধু একজন ‘আয়রন লেডি’ নন, বরং কাজের বাইরে জীবনের আনন্দও উপভোগ করেন।’  নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, বিশেষত তার কড়া রাজনৈতিক অবস্থান এবং ব্যক্তিগত অনন্য রুচির কারণে। জাপানের নতুন নেত্রী সম্পর্কে আরো জানার আছে অনেক কিছু।

তাকাইচি কোনো রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নন

জাপানের কেন্দ্রীয় প্রিফেকচার নারবতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তাকাইচির। তার পরিবার ছিল একেবারে সাধারণ। একটি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে তার বাবা কাজ করতেন এবং মা ছিলেন স্থানীয় পুলিশ বিভাগের কর্মী।  

বিশ্লেষক হল বলেন, ‘তার দলের অনেক রাজনীতিকের মতো তাকাইচি সেরকম কোনো প্রভাবশালী বা রাজনীতিক পরিবার থেকে আসেননি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব পরিশ্রমী ছিলেন এবং জাপানের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।’

তবে তাকাইচির বাবা-মা তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ দিতে অস্বীকৃতি জানান। তারা চেয়েছিলেন মেয়ে যেন বাড়ির কাছে কোনো কলেজে ভর্তি হয়, যাতে খরচ কম হয়। শেষ পর্যন্ত তাকাইচি ভর্তি হন কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নিজের পড়াশোনার খরচ তিনি মেটান খণ্ডকালীন চাকরি করে। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ যাতায়াত করতেন।

১৯৮৭ সালে তাকাইচি যুক্তরাষ্ট্রে যান, যেখানে তিনি কলোরাডোর ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান প্যাট শ্রোডারের কার্যালয়ে কংগ্রেশনাল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। যদিও তাকাইচি নিজে একজন রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন রাজনীতিক। দেশে ফিরে তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টেলিভিশনে উপস্থাপিকার চাকরি পান।

হল বলেন, ‘সেখান থেকেই তিনি টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠেন, যা জাপানে বেশ সাধারণ পথ। যদি আপনি টিভিতে পরিচিত মুখ হন, তাহলে নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়।’

রাজনীতিতে কয়েক দশক ধরে সক্রিয়

তাকাইচি প্রথমবারের মতো ১৯৯৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজ শহর নারা থেকে। তিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিন বছর পর তিনি যোগ দেন জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) এবং পরবর্তীতে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তাকাইচি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অধীনে এবং পুনরায় ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা টেলিযোগাযোগ নীতি এবং সম্প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

বিশ্লেষক হল বলেন, ‘আমি মনে করি তাকাইচি এই পদে অন্য যেকোনো রাজনীতিবিদের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। কারণ আবে প্রশাসন ছিল দীর্ঘস্থায়ী এবং আবে তার দক্ষতাকে অত্যন্ত মূল্য দিতেন।’

শিনজো আবে ছিলেন জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৭ এবং পরে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল, অর্থাৎ হত্যার শিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার জন্য তিনি পরিচিত ছিলেন। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অ্যাবেনোমিক্স’ এবং বিশ্ব মঞ্চে জাপানের ভূমিকা পুনর্নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

তাকাইচি নিশ্চিতভাবেই নিজেকে আবের রক্ষণশীল উত্তরাধিকারের উত্তরসূরি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন বলে হল জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনে তাকাইচি আবের প্রত্যক্ষ সমর্থন পান। হল আরো বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই তারা কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তবে চীন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইতিহাসে সংশোধনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মতো বিষয়ে তাদের ভাবনা ছিল অভিন্ন। এ ধরনের মতাদর্শ জাপানের বহু অতিরক্ষণশীল রাজনীতিবিদের মধ্যেও দেখা যায়।’

তার মতামত নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে

বিশ্লেষক হল বলেন, ‘তাকাইচি আধুনিক মুদ্রা তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। যেখানে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যয়সহ বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ খাতে ঘাটতি ব্যয় করা যেতে পারে।’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, তাকাইচি যদিও তার দলের অনেক সদস্যের মতো ঐতিহ্যগত অর্থনৈতিক রক্ষণশীল নন, সামাজিক বিষয়গুলোতে তিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল। 

উদাহরণস্বরূপ, তিনি সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে বিশেষ কর্মসূচি চালু করতে চান এবং বিশ্বাস করেন যে, নারীদের বিয়ের পর তাদের কুমারী নাম রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। যদিও নিজে পেশাগত ও জনজীবনে নিজের নাম ব্যবহার করে আসছেন।

হল আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তাকাইচির অবস্থানও কঠোর ও বিতর্কিত। বহু বছর ধরে তিনি যুদ্ধের সময় জাপানের আগ্রাসনকে ছোট করে দেখিয়েছেন এবং মিত্রশক্তি কর্তৃক জাপানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমালোচনা করেছেন।

তাকাইচি প্রায়ই ইয়াসুকুনি মন্দির পরিদর্শনের জন্য আলোচনায় আসেন। এই মন্দিরে দোষী সাব্যস্ত যুদ্ধাপরাধীদের সমাধি রয়েছে এবং তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে সম্মান জানানো হয়। তবে সাম্প্রতিক শরৎ উৎসবে তিনি সেখানে নিজে না গিয়ে ‘ধর্মীয় নৈবেদ্য’ পাঠিয়েছিলেন।

ধর্মীয় নৈবেদ্য হলো কোনো দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত বস্তু বা খাবার, যা শ্রদ্ধা ও ভক্তির প্রতীক। এটি সাধারণত ফুল, ফল, মিষ্টি, ধূপ, দীপ, এবং বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতকৃত খাবার হতে পারে। এই নৈবেদ্য দেওয়ার মাধ্যমে উপাসনা সম্পন্ন হয় এবং তা প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণও করা হয়। 

এ ছাড়াও তাকাইচি অভিবাসী ও পর্যটকদের সম্পর্কে তার নেতিবাচক মন্তব্যের কারণেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। জাপানের পর্যটন খাত দ্রুত প্রসারিত হলেও তিনি প্রচারণার সময় নারা পার্কে পর্যটকদের পবিত্র হরিণকে লাথি মারার এক অপ্রমাণিত ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন—যা অনেকের কাছে বিদেশবিদ্বেষী (জেনোফোবিক) দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন মনে হয়েছে।

হল বলেন, ‘এটি আসলে বিদেশি নাগরিক ও জাপানে বসবাসকারী অভিবাসীদের প্রতি একধরনের সাধারণ অপছন্দের বহিঃপ্রকাশ।’ তাকাইচি আরো একটি কঠোর গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইনের পক্ষে কথা বলেছেন। যেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাপানে বসবাসরত কিছু চীনা নাগরিক চীনা সরকারের জন্য সম্ভাব্য গুপ্তচর হতে পারেন। তার প্রচারণার সময় তিনি জাপানে বিদেশিদের সম্পত্তি কেনার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

হল বলেন, ‘যারা অভিবাসনবিরোধী, তারা তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় কিছুটা আশাবাদী। কারণ তারা মনে করছেন, তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। তবে বাস্তবে এটি সম্ভব নয়, কারণ জাপানি ব্যবসায়ীরা শ্রম সংকট মোকাবিলায় অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।’

নারীবাদী নন

২০২৪ সাল পর্যন্ত যেখানে জাপানের সংসদে নারীদের আসন মাত্র ১০ শতাংশ ছিল, সেই দেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ২০২৫ সালের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান লিঙ্গ সমতার দিক থেকে ১৪৮টি দেশের মধ্যে ১১৮তম স্থানে রয়েছে, যা জি৭ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।

তবে তাকাইচি লিঙ্গ সমতার বিষয়গুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেবেন, এমন ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ঐতিহ্যবাহী লিঙ্গভূমিকার পক্ষে কথা বলেছেন, সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছেন এবং জাপানি রাজপরিবারে কেবল পুরুষ উত্তরাধিকারকেই সমর্থন করেছেন।

বিশ্লেষক হল বলেন, ‘তার নেতৃত্বে এমন সময় আসবে না, যখন নারী সমতা বা লিঙ্গ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো জোরালোভাবে এগিয়ে যাবে। তবে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবশ্যই কিছু ইতিবাচক বার্তা দেয়। বিশেষ করে তরুণীদের জন্য, যারা এতে অনুপ্রেরণা পেতে পারে যে ভবিষ্যতে তারাও দেশের নেতৃত্ব দিতে পারবে।’

তাকাইচি নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তিনি নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের পক্ষে কথা বলেছেন। এ ছাড়াও তিনি গর্ভধারণে নিজের অসুবিধার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। তার কোনো জৈবিক সন্তান নেই, তবে তিনি স্বামীর আগের বিবাহের তিন সন্তান এবং মোট চার সন্তানের সৎ মা। তার স্বামী তাকু ইয়ামামোতো প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও এলডিপির সহকর্মী। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাকু আইনত তাকাইচির পদবি গ্রহণ করেছেন, যা জাপানে অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাকাইচি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তার মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে উন্নীত করবেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মাত্র দুইজন নারীকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেন।

হল বলেন, ‘দলের নেতৃত্বে উঠতে তাকাইচিকে তার পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি রক্ষণশীল হতে হয়েছে।’ যদিও তিনি ও তার আদর্শ মার্গারেট থ্যাচারের মধ্যে অর্থনৈতিক নীতিতে কিছু পার্থক্য রয়েছে, তবুও দুজনই রক্ষণশীল, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কখনোই দুর্বল হিসেবে দেখা দিতে চান না।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘হয়তো কোনো না কোনোভাবে, তিনি তার রাজনৈতিক উত্থানকে থ্যাচারের মতো করে গড়ে তুলেছেন। কারণ তাকাইচিও অত্যন্ত দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি এমন একটি দলে নেতৃত্বে এসেছেন, যেখানে খুব রক্ষণশীল পুরুষরা সাধারণত নারীদের উচ্চপদে উন্নীত করেন না।’

ট্রাম্পের প্রতি তার বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব

তাকাইচি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি স্পষ্টতই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাকাইচিকে ‘অত্যন্ত জ্ঞানী ও শক্তিশালী, অত্যন্ত সম্মানিত একজন ব্যক্তি’ বলে প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে তিনি তাকাইচিকে দলের নেতৃত্বে তার উত্থান এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদে আরোহণের জন্য অভিনন্দন জানান।

এর জবাবে তাকাইচি নিজের এক পোস্টে ইংরেজি ও জাপানি দুই ভাষাতেই লেখেন, তিনি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে একযোগে কাজ করে জাপান-মার্কিন জোটকে আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আশাবাদী।’

বিশ্লেষক হলের মতে, ট্রাম্পের কাছে তাকাইচির প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ তাকাইচি ‘অভিবাসনবিরোধী, কট্টর রক্ষণশীল এবং প্রয়াত শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ হিসেবে পরিচিত—যিনি ছিলেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে আবে ছিলেন তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রথম বিদেশি নেতাদের একজন। ওয়াগিউ বিফ বার্গার খাওয়া, সুমো কুস্তি দেখা এবং গলফ খেলার মাধ্যমে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এই মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের জাপান সফরের সময় তাকাইচির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন