ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ও সৈন্য প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছেন সরে যেতে বাধ্য হওয়া লোকজন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করে আইডিএফ।
গত কয়েক সপ্তাহের ভারি বোমাবর্ষণে গাজা উত্তরাঞ্চল এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যা কল্পনাতীত। এরপরও সেখানকার বাসিন্দারা তাদের পুরোনো ঠিকানায় ফিরতে শুরু করেছেন।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) থেকে সেনারা গাজার কিছু এলাকা থেকে সরে এসে নতুন নির্ধারিত সীমানা বরাবর অবস্থান নেওয়া শুরু করেছ।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় উল্লেখিত এবং হামাস ও ইসরাইলের সম্মত হওয়া এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাহ ও খান ইউনিস (দক্ষিণ) ও গাজার উত্তরের এলাকা থেকে পূর্ব দিকে প্রত্যাহার করে ইসরায়েলের সীমান্তের দিকে সরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে ইসরায়েলে ২০০ মার্কিন সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ওই ২০০ মার্কিন সেনা এরই মধ্যে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
মিশরের শারম আল-শেখ শহরে তিনদিনের আলোচনার পর গত বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। মার্কিন তত্ত্বাবধানে তুর্কি, মিশর ও কাতারের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ভোরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ও হামাস তার যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় পরিকল্পনার ‘প্রথম ধাপে’ সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে ইসরায়েলি সরকার। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানানো হয়।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন