নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সরকারের আমলে প্রভাবশালী ও সুবিধাভোগী আওয়ামীলীগ নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় জনতা।
“অপারেশন ডেভিল হান্ট” শুরু হলে পুলিশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতার করলেও সাধারণ মানুষ তখনই প্রশ্ন তোলে- কেন শুধু চুনোপুটিদের ধরা হচ্ছে? ধরা হচ্ছেনা রাঘববোয়ালদের! অভিযুক্ত নেতারা আগের মতোই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চতেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, বর্তমান ইউপি সদস্য সেকুল আহমদ, যুবলীগ নেতা গউছ মিয়া সহ আরও কয়েকজন স্থানীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, সরকারি অনুদান ও ত্রাণের অর্থে স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিশেষ করে শাহ কামালের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার থেকে কমিশন আদায় এবং দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় মহলে পুরনো বিষয়। একইভাবে সেকুল আহমদকে ঘিরে সরকারি সাহায্যের তালিকা তৈরিতে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যুবলীগ নেতা গউছ মিয়া ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক দখলদারিত্বের অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেওয়া হলেও তা রহস্যজনকভাবে অগ্রগতি পায়নি।
এ ব্যাপারে এক ভুক্তভোগী জানান, “আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর পরিবর্তন আসবে, কিন্তু যারা এতদিন অন্যায় করেছে, তারা এখনও আগের মতোই শক্ত অবস্থানে রয়েছে।”
স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতন মহল বলছেন, প্রশাসনের এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এসব নেতার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
জনগণের প্রশ্ন আইনের চোখে যেখানে সবাই সমান, সেখানে কিছু ব্যক্তি ‘অপরাধ করেও নিরাপদে’ ঘুরে বেড়ায় কীভাবে?

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন