সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে থাকা ৩ জন সাংবাদিকের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ। এরা হলেন, এনটিভি ও যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরি, আরটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক হাবিবুর রহমান এই স্বাক্ষ্য প্রদান করবেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে। এদিকে আলোচিত এই মামলা পরিচালনার জন্য ঢাকা থেকে অতিরিক্ত এ্যাটর্ণি জেনারেল এসএম মুনীরসহ ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুইদিন আগেই সাতক্ষীরায় এসেছেন। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর পর তা খারিজ করে দেয়ায় আজ থেকে সাক্ষীদের জেরা করার কথা রয়েছে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের। এরআগে এ মামলায় ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬জনের জেরা করেনি আসামী পক্ষের আইনজীবিরা। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম অব্যহত আছে। ##

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন