মেজর জলিলকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব : এম এ জলিল

gbn

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, সাহসী রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী সেক্টর কমান্ডার হিসাবে তার এই অধিকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকারের বাস্তবায়ন করা উচিত।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) নয়াপল্টনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এম.এ জলিলের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেজর (অব.) এম.এ জলিল। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের ও সরকারের শীর্ষ ব্যাক্তিদের ভুলের কারণে মেজর জলিল বীর উত্তম খেতাব থেকে বঞ্চিত হন এব্ং স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস কারা বরন করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করলে বঙ্গবন্ধু মেজর জলিলকে সামুদ্রিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু মেজর জলিল বলেছিলেন আগামীতে আমি যা করবো তা আপনার পক্ষেই থাকবে।

 

তিনি আরো বলেন, জাসদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মজর জলিল দেশের পক্ষেই কাজ করছেন, মানুষের পক্ষে কাজ করেছন। আজীবন সততার রাজনীতির এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলের ভূমিকার জন্য বর্তমান সরকারের উচিত মেজর জলিলকে বীরউত্তম ভূষিত করা হোক।

 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বিরোধীদলীয় স্রোতধারার প্রাণপুরুষ মেজর জলিল বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে নতুন ধারার বরপুত্র। এক অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে টানা সংগ্রামী এই লড়াকু সৈনিক বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক বিরল সম্পদ। ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ তার দেশপ্রেমের এক অমর গদ্যকাব্য। আজ বিনম্রচিত্তে পরম শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করছি। তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে নতুন প্রজন্ম জাগুক- এই প্রত্যাশা করছি।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপটে মেজর জলিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একসময় যেকোনো দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তর্জনি উঁচিয়ে ‘খামোশ’ বলতেন মওলানা ভাসানী। স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গের প্রেক্ষাপটে ‘রুখো’ বলে আধিপত্যবাদের পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছিলেন মেজর জলিল।

 

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, নুরুল ইসলাম, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন