ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজু মিয়াকে শোকজ করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কাপাসিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাউল ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়। সেই চাউল উত্তোলন করে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তার নিজস্ব গুদাম ঘরে গুদামজাত করেছেন যা আইন পরিপন্থি।
এতে আরও বলা হয়, বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দাকৃত জিআর চাউল যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণের চাউল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত জুলাই মাসে চাউল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া। পরিষদে চাউলগুলো না রেখে কছিম বাজারের মো. জাহাঙ্গীর আলমের গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যা পার হলেও চাউলগুলো বিতরণ করেননি তিনি। এলাকাবাসীর ধারণা চালগুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান গোডাউনে রেখেছেন। পরে সংবাদ পেয়ে গত রোববার রাত সোয়া ৮ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। ৩০ কেজি ওজনের একশো বস্তা চাউল সেখানে পাওয়া যায়। সেই চাউলগুলো গোডাউনসহ সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। পরে সোমবার দুপুরে চাউলগুলো বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন