ইসরায়েল মঙ্গলবার গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে তারা বলেছে, গাজা উপত্যকার আশপাশে ভয়াবহ যুদ্ধে সেনাবাহিনীর পুনরুদ্ধার করা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে দেড় হাজার হামাস যোদ্ধার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার আশপাশে ইসরায়েলে হামাসের প্রায় দেড় হাজার (যোদ্ধাদের) মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
এ ছাড়াও সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনী ডজনখানেক শহর ও কিবুতজিমে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ভয়ানক লড়াইয়ে গাজার আশপাশের দক্ষিণাঞ্চল ও সীমান্তকে ব্যাপকভাবে পুনরুদ্ধার করেছে।
এদিকে দেশটির ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে গাজার কর্মকর্তারা এখনো পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সতর্ক করে বলেছেন, শনিবারের আশ্চর্য গণহত্যা হামাসকে ধ্বংস করতে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে পরিবর্তন করার জন্য একটি টেকসই যুদ্ধের সূচনা মাত্র। সোমবার গভীর রাতে শোকার্ত জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস সন্ত্রাসীরা শিশুদের বেঁধে, পুড়িয়ে মারছে এবং হত্যা করেছে।
তারা বর্বর। হামাস হলো আইএসআইএস।’
ইসরায়েলের কট্টর-ডান জোটের নেতৃত্বে থাকা প্রবীণ এ নেতা বছরের পর বছর রাজনৈতিক সংকট ও তিক্ত সামাজিক বিভাজনের পর একটি ‘জাতীয় ঐক্যের জরুরি সরকারের’ আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযানের জন্য তিন লাখ সংরক্ষিত সামরিক সদস্যকে তলব করেছে এবং গাজার কাছে ও লেবাননের সঙ্গে উত্তর সীমান্তে ট্যাংক ও অন্যান্য ভারী বর্ম স্থাপন করেছে।
সেই সঙ্গে ইসরায়েল সোমবার দীর্ঘ অবরুদ্ধ গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে। পানি সরবরাহ, খাদ্য, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি অবরোধের ঘোষণায় ‘গভীরভাবে ব্যথিত’। তিনি সতর্ক করেছেন, ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে থাকা গাজার এখন ‘শুধু দ্রুত অবনতি হবে’।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন