সাধারণ মানুষের চরম আপত্তি ও কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পরও ইসরায়েলে বিতর্কিত বিচার বিভাগ সংস্কার আইন পাস করানো হয়েছে। এরমাধ্যমে মূলত সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়েছে সরকার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হার্টের অপারেশন শেষে সোমবার (২৪ জুলাই) হাসপাতাল থেকে সংসদে যান। সেখানে এ আইনটি নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে আলোচনায় বসেন তিনি। কিন্তু এতে কোনো সমাধান না পাওয়ায় বিচার বিভাগ সংস্কার আইন নিয়ে তিনি ভোটাভুটির আয়োজন করেন। আইনটি ৬৪-০ ভোটে পাস হয়। তবে এতে বিরোধী দলগুলো ভোট দেয়নি। তারা এই ভোট বয়কট করে।
আইনটি পাসের কারণে— সুপ্রিম কোর্ট আর সরকারের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবে না। আগে সরকার কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলে সেটি পরিবর্তন বা বাতিল করে দিতেন আদালত।
এছাড়া এ আইনে রয়েছে— এখন থেকে আদালতের বিচারক নিয়োগে সরকার ভূমিকা রাখবে।
এরমাধ্যমে মূলত সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব করা হয়েছে। এখন সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এ কারণে সাধারণ ইসরায়েলিরা এর বিরোধীতা করেছিলেন। আইনটি প্রস্তাব করার পরই তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন বৃথা গেছে।
সরকার দাবি করছে, ক্ষমতার স্থিতিশীলতা আনতে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। কারণ গত এক দশকে সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছে, এটি আদালতের ক্ষমতা খর্ব করবে না— উল্টো সাধারণ মানুষের রায়কে রক্ষা করবে।
তবে বিতর্কিত বিলটি পাস করানোয় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরায়েলিরা। পাইলটসহ রিজার্ভ বাহিনীর অনেকে জানিয়েছেন, তারা সরকারের আহ্বানে আর সামরিক কর্মকান্ডে অংশ নেবেন না।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন