জিবিনিউজ24ডেস্ক//
ভারতীয় টেনিসে আলো ছড়ানো একটি নাম সানিয়া মির্জা। সম্প্রতি তিনি টেনিস থেকে অবসরে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বিদায় এখনও হয়নি। আরও ২টি ম্যাচ খেলবেন তিনি। আগামী ৫ মার্চ নিজের শহর হায়দ্রাবাদে এই দুটি ম্যাচ খেলবেন সানিয়া।
সামাজিক মাধ্যমে নিজেই এই কথা জানিয়ে সানিয়া লেখেন, ‘১৮-২০ বছর আগে যেখানে আমার টেনিসজীবন শুরু হয়েছিল, সেই হায়দ্রাবাদেই ৫ মার্চ আমি শেষ ম্যাচ খেলব। আমার পরিবার, বন্ধু, যাদের সঙ্গে এতদিন খেলেছি, তারা সবাই আসবে। তোমাদের সামনে শেষ বারের মতো কোর্টে নামার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। সর্বোপরি আমার ভক্তরা থাকবেন, যারা এই যাত্রাপথে আমার সঙ্গে ছিলেন।’
ওই দিন হায়দ্রাবাদে দুটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবেন সানিয়া। প্রথম ম্যাচটি দুই দলের মধ্যে ‘রাউন্ডার’ ম্যাচ। একটি দলের নেতৃত্বে রোহন বোপান্না, অন্য দলটির নেতা খোদ সানিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচটি মিক্সড ডাবলস ম্যাচ। সানিয়া এবং বোপান্না জুটি বেঁধে খেলবেন। উল্টো দিকে থাকবেন ইভান ডডিগ ও বেথানি মাতেক স্যান্ডস।
বলিউড এবং দক্ষিণী সিনেমা জগতের বহু তারকার ওই দিন উপস্থিত থাকার কথা। অনলাইনে এই ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
গত সপ্তাহেই পেশাদার টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া। দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতায় ডাবলসের প্রথম রাউন্ডেই হেরে যান তিনি। দুবাইয়ের প্রতিযোগিতায় খেলে টেনিস র্যাকেট তুলে রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন ছয়টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই তারকা।
নারীদের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের (আরসিবি) ক্রিকেট পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন তিনি। আরসিবি-র বরাত দিয়ে এই খবর আগেই জানানো হয়েছিল। আরসিবি টিভিতে সানিয়া বলেছিলেন, প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন বেশ উত্তেজিত। আমি ছোট মেয়েদের বোঝাতেই চাই যে, খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া যায়। আগামী প্রজন্মকে নিজেদের ওপর বিশ্বাস করতে শেখাব এবং বলব, সামনে যত বাধাই আসুক না কেন, তা পেরিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করা যায়।
ছোট মেয়েরা খেলাধুলায় এসে কীভাবে চাপ সামলাতে শিখবেন, সেই শিক্ষাও দিতে চান সানিয়া। তিনি বলেন, ছোট মেয়েদের সঙ্গে সবার আগে মানসিক ব্যাপারে কথা বলতে চাই। দীর্ঘ ২০ বছর টেনিস খেলে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। আশা করি সেটা দিয়ে ওদের মনকে চাঙ্গা করে তুলতে পারব এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারব। একা মেয়ে হিসেবে এত দিন ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে টেনিস খেলতে গিয়ে একাকীত্ব তৈরি হয়েছে। তার থেকেও বেশি ছিল প্রত্যাশার চাপ। সেই ব্যাপারগুলো কীভাবে সামলাতে হয় সেটা শেখাতে চাই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন