জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
ঢাকা টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.৫ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দায়িত্বশীল জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। তাদের দুজনের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে স্বস্তির দিন পার করলো স্বাগতিকরা।
সোমবার (২৩ মে) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৭ রান। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে মুশফিক ১১৫ ও তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে লিটন করেছেন ১৩৫ রান। ইতিহাসগড়া এ অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৫৩ রান।
সকালে ব্যাটিং নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়ে যান টাইগাররা। বাংলাদেশ শিবিরে ধস নামান লংকান দুই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। তাদের গতির মুখে পড়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন-মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
৬.৫ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব-তামিম-মুমিনুলদের অসহায় আত্মসমর্পণে অনুমেয় ছিলো অল্প রানেই অলআউট হচ্ছে বাংলাদেশ। এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও যে দলের হাল ধরা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। জাতীয় দলের এই দুই তারকা ব্যাটসম্যানের বাড়তি দায়িত্বশীলতার কারণেই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে ফিরতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
২৪ রান ৫ উইকেটে হারানো বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মুশফিক-লিটন। ষষ্ঠ উইকেটে প্রায় পুরোদিন ব্যাটিং করে ২৫৩* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির রেকর্ড গড়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন তারা।
চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে রান খরা কাটানো মুশফিকুর রহিম দিন শেষ করেছেন ১১৫ রান করে। উইকেট কামড়ে পড়ে ছিলেন তিনি। খেলেছেন ২৫২ বল। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করার দিনে ১৩ চার মেরেছেন। তাদের জুটি থেকে দল পেয়েছে ২৫৩ রান। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। তারা দু’জন ১৫ বছর আগে কলম্বোয় করা আশরাফুল-মুশফিকের ১৯১ রানের রেকর্ড ভেঙেছেন। টেস্টে দেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটিও গড়েছেন।
ঢাকা টেস্টের উইকেট স্পিন বোলিং সহায়ক হওয়ার ইঙ্গিত ছিলো। শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক হলেও পরে স্পিন ছো মারার কথা ছিলো। তবে লঙ্কান তিন স্পিনার জয়াবিক্রমা, রামেশ মেন্ডিস কিংবা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা সুবিধা করতে পারেননি। শুরুতে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করেছিলেন পেসার কাসুন রাজিথা ও অসিথা ফার্নান্দো। রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্টের মতো একই ট্রাপে ফেলে তিন উইকেট তুলে নেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন