বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-
১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ। ভূরিভোজ ছাড়া যে কোনও উৎসবই ফিকে হয়ে যায়। তেমনই মকর সংক্রান্তি এলেই পিঠে- পুলির স্বাদ মনে পড়ে যায়। মৌকর সংক্রান্তির দিনে নতুন ফসল কাটা হয়, নতুন গুড় দিয়ে নানান পদ বেঁধে বানিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। এ দিনে নানান ধরনের পিঠে- পুলি তৈরি করা হয়।এটি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তির শেষের দিন শুক্রবার মাসের শেষ দিন, গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের রীতি প্রচলিত ছিল। এখন যে পুরোপুরি হারিয়ে গেছে তা ও নয়। বরং ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষ এ উদযাপন করে পৌষ সংক্রান্তি। পিঠা ও ফল খাওয়া, হরিলোট করে ফল বিতরন ও ঘুড়ি উড়ানো অন্যতম। মকর সংক্রান্তি বলতে, নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশের ক্ষণটিকে ইঙ্গিত করা হয়। শীতকালে বেশি আয়োজন করা হয়। এ দিনে বিভিন্ন অঞ্চলের শিশু-কিশোররা বাস্তুর গান, কুলাইর ছড়া, হোলবোলের গান, বাঘাইর বয়াত গেয়ে চাল ও অর্থ সংগ্রহ করে পৌষপালা, বনভোজন সহ বিভিন্ন আয়োজন করে। একই দিন দধি সংক্রান্তির ব্রতের শুরু হয়। এই ব্রতে প্রতি সংক্রান্তিতে লক্ষ্মীনারায়ণকে দধি দ্বারা স্নান করিয়ে ব্রাহ্মণকে দধি ও ভোজদান করা হয়। তাই বলে পৌষ সংক্রান্তিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বিশেষ সুযোগ নেই। এরই দ্বারাবাহিকতায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাংঙ্গালী লোকজন ঢাক ডুল বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করে পৌষ সংক্রান্তি পালন করেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন