জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
চুক্তি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ কর্মদিবস প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশারের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন করে চুক্তি না করলে বা চুক্তির মেয়াদ না বাড়ালে বাদ পড়তে হবে তাদেরকে। জানা গেছে, প্রধান নির্বাচক পদে ফেরার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ফারুক আহমেদকে।
বিসিবির একজন পরিচালক জানান, নির্বাচক প্যানেল পুনর্গঠনের কাজ চলছে। প্রধান নির্বাচক পদে ফেরার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ফারুক আহমেদকে। তিনিও প্রস্তাবকারীকে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। যেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে প্রধান নির্বাচকের পদে ফিরতে আপত্তি নেই তার।
ফারুক ফিরলে নান্নু অধ্যায় শেষ হচ্ছে এ মাসেই। প্যানেল পুনর্গঠন করা হলে নান্নুর সঙ্গে বাশারকেও বাদ দেওয়ার পক্ষে বোর্ড কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী বোর্ড সভায়।
ফারুক আহমেদকে অনেকেই বাংলাদেশের সেরা নির্বাচক বলে মানেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে প্রধান নির্বাচক থাকাকালে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহদের জাতীয় দলে সুযোগ দেন তিনি। আকরাম খান বিসিবি পরিচালক হলে ফারুক ফেরেন প্রধান নির্বাচকের পদে। নান্নু ও বাশারকে নিয়ে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত কাজ করেন তিনি।
এরপর বিসিবি দুই স্তর নির্বাচক কমিটি করার প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারুক। এরপর নান্নুকে প্রধান নির্বাচক করে দুই সদস্যের নির্বাচক প্যানেল গঠন করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত দুই সদস্যের নির্বাচক প্যানেল দিয়েই কাজ চালায় বিসিবি। এ বছর রাজ্জাককে নিয়োগ দেওয়ায় তিন সদস্যে উন্নীত হয় প্যানেল। ২০২২ সালের নতুন কমিটিও হতে পারে তিন সদস্যের।
এ ব্যাপারে একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান নির্বাচক পদে পরিবর্তন হতে পারে, ফারুক ভাই না এলে বর্তমান কমিটি রেখে দেওয়া হতে পারে। বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।'
পরিচালকদের একাংশ নান্নু ও বাশার দু'জনকে বাদ দিয়ে নতুন প্যানেল গঠন করার পক্ষে। দু'জনকে বাদ না দিলে প্যানেল পুনর্গঠন করার প্রয়োজন নেই বলেও মত দেন তারা।
শেষ পর্যন্ত বাশারকে রেখে দেওয়া হলে নাফিস ইকবালকে নির্বাচক প্যানেলে নেওয়া হতে পারে। যদিও নাফিস ইকবাল বিসিবির একাধিক পদে কর্মরত। গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার থেকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। সাব্বির খান বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় পাকিস্তান সিরিজ থেকে জাতীয় দলের লজিস্টিক ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ফারুক আহমেদ প্রধান নির্বাচক হলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেই থাকতে হবে নাফিসকে।
প্রধান নির্বাচক পদে ফিরতে চান কিনা জানতে চাওয়া হলে ফরুক আহমেদ কিছু বলতে রাজি হননি। কোনো মন্তব্য না করলেও তার ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই তার। সে ক্ষেত্রে বোর্ড পরিচালক হিসেবে নির্বাচক কমিটির কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন সুজন।
মূলত জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে নির্বাচক কমিটিতে রাখার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন ফারুক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন