জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। এরপর নতুন সরকার গঠনের কথা জানান দেশটির এলিট ফোর্সের সেনাপ্রধান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে গুলির লড়াই চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট আলফা কনডে পালিয়ে গেছেন। পরে এলিট ফোর্সের সেনারা জানান, প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিকেলে দেশটির জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে একটি বিবৃতি দেন এলিট ফোর্সের সেনাপ্রধান মামাডি দৌমবউয়া। তিনি জানান, দ্রুত অস্থায়ী সরকার তৈরি করে শাসনকাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে নতুন সংবিধান তৈরির কাজও শুরু হবে।
এলিট ফোর্সের প্রধান গিনির জাতীয় পতাকা পাশে রেখে বিবৃতি দেন। তার পাশে আটজন সশস্ত্র সেনা দাঁড়িয়ে ছিল। বিবৃতি বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছিল। সে কারণেই এলিট ফোর্স বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডেন্ট এখন তাদের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তিনি আরো বলেন, নতুন করে সরকার গঠন করা হবে। নতুন সংবিধান তৈরি হবে। নতুন সরকার হবে মানুষের সরকার। ক্ষমতা একজন বা কয়েকটি পরিবারের হাতে থাকবে না। সকলে রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার অধিকার পাবেন। আপাতত অনির্দিষ্টকালের কার্ফিউ ঘোষণা করা হয়েছে গিনিতে। মধ্যবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কার্ফিউ জারি থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দুইবছর আগে শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল গিনিতে। তারপর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট একনায়কের মতো দেশ শাসন করছেন। শুধু তাই নয়, দারিদ্র্যে ডুবে যায় দেশটি। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই সমস্ত বিষয়গুলোই এদিনের বিবৃতিতে বলেছেন সেনাপ্রধান। সেনার বিবৃতি শোনার পরে গিনির রাস্তায় সাধারণ মানুষকে উৎসব করতেও দেখা গেছে।
গিনির বিদ্রোহের পরে দেশটির স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশটির সরকার বলার চেষ্টা করেছিল, বিদ্রোহ সফল হয়নি। কিন্তু পরে সেনাপ্রধান বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন যে, প্রেসিডেন্টকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা হবে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে কি না, নতুন মন্ত্রিসভায় তাদের জায়গা হবে কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন