শ্রাবন্তীর সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ নেই: রোশন

gbn

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

আমার কাজ নিয়ে তো কেউ জানতে চায়নি কখনো! শুনুন, আমি একটা সময়ে একটা এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু সুপারভাইজার ছিলাম। ১৩ বছর ওই চাকরিটা করেছি। পরবর্তীকালে চাকরি করতে করতেই দু’টো জিম খুলে ফেলি। শরীরচর্চা আমার প্যাশন। এখন জিমের প্রমোশনেই ইনস্টাগ্রামে থাকি। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়া খুব খারাপ জায়গা।

কেন?

আরে, আমার এক বন্ধু সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নিয়ে একটা ছবি পাঠিয়েছিলো। বলেছিলো, হাসিটা ঠিক আমার মতো। সেটাই আমি ইনস্টায় পোস্ট করি। ব্যাস! ট্রোলড! লোকে লিখতে শুরু করলো, আমিও এবার সুশান্তের মতো গলায় দড়ি দিয়ে মরবো! মেরেই ফেললো আমায়! এখন যা-ই পোস্ট করি, লোকে খারাপ বা ভুল কমেন্ট করতেই থাকে। আর শুধু তো আমার ওপর নয়। ওর (শ্রাবন্তীর নাম না করে) প্রোফাইলেও যা খুশি লেখা হচ্ছে। লোকে ওকে ওর মতো থাকতে দেবে না! সোশ্যাল মিডিয়া খুব খারাপ জায়গা হয়ে গিয়েছে। যে যা করছে করতে দাও। আনএথিকাল খবর করে কী লাভ?

একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে সংসার করা কতোটা চ্যালেঞ্জিং?

আর পাঁচটা সংসারের মতোই আমাদের সংসার ছিলো। ও যে সুপারস্টার, সেটা বাড়িতে থাকলে কোনোদিন বুঝতে দেয়নি। এমনকি, আমার পরিবারের সঙ্গেও মিশে গিয়েছিলো। ওর ছেলের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিলো আমার। ৪০৭ (মালবাহী ম্যাটাডর) চালায় আমার এক বন্ধু। তার সঙ্গেও ও মিশতে পারতো। তবে আমি মনে করি, যা হয় সবসময় ভালোর জন্যই হয়। এর বেশি আমি কিছু বলবো না। প্লিজ!

চাকরিটা ছাড়লেন কেন?

দেখুন, ওই চাকরি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিয়মানুবর্তিতা। কথা বলার ধরন। পোশাক নিয়ে সচেতনতা। এদিক থেকে ওদিক হলে চাকরিতে লাল দাগ। অন্যদিকে কতো রকমের মানুষ দেখেছি। শাহরুখ খান থেকে অমিতাভ বচ্চন— সকলে আমার ফ্লাইটে চড়েছেন। সুস্মিতা সেনের সঙ্গে আড্ডা হয়েছে। একবার সোহেল আর সালমান খানও ছিলেন। মুম্বাই থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিলেন। আমরা মজা করে বলেছিলাম, স্যারের সঙ্গে ডিনার করবো। উনি সেটা শুনে রাতেই পুরো টিমের জন্য হায়দরাবাদের হোটেলে বিরিয়ানি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

তবুও চাকরি ছাড়লেন?

আমি খুব আবেগপ্রবণ। ৩১ ডিসেম্বর ছুটি না পেলে ভেঙে পড়তাম। হোলিতে কাজ করতে ভালো লাগতো না। আর কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা আমি এখনো ভাবতে পারি না।

আপনি তো পঞ্জাবি?

হ্যাঁ। শুধু পদবিতে। জানেন, আমি পঞ্জিকা দেখতে পারি! ছোটবেলায় পাশের বাড়ির গায়ত্রীপিসি আমায় মানুষ করেছেন। তাই পুরোদস্তুর বাঙালি হয়ে উঠেছি।

কখনো ছবিতে অভিনয় করতে ইচ্ছে হয়নি?

আমি তো সিনেমা নিয়েই সংসার করেছিলাম। পুরো ইন্ডাস্ট্রি আমার চেনা। আমার জিমে শুটিংও হয়েছে। কিন্তু আমি ‘নেম’ বা ‘ফেম’ কিছুই চাইনি। এখন যদিও অন্য কারণে, উল্টো দিক থেকে নাম হয়ে যাচ্ছে! তবে আমার মনে হয়, আমি অভিনয় করলে প্রযোজকরা ফেল করে যাবে। (হেসে) সেটা হতে দেওয়া যায় না।

নতুন বছরে কী ভাবছেন?

১৮ বছর বয়স থেকে চাকরি করেছি। নিজের ওপর বিশ্বাস আছে আমার। সেই জায়গা থেকেই ক্লোদিং ব্র্যান্ড লঞ্চ করছি। ট্রি-চিয়ার্স। টি শার্ট হবে নানারকম লেখা দিয়ে। মাস্ক তো থাকবেই। ওটা এখন জীবনের অঙ্গ। মার্চ মাসে কোনো সেলিব্রিটিকে দিয়ে লঞ্চ করাব। দেখি।

ঘরের সেলিব্রিটিকে রাখবেন?

নাহ্! অবশ্যই বাইরের লোক। পুরো টালিউড আমার পরিবার। সকলের সঙ্গে আলাপ আছে। আপনি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন সকলের সঙ্গে আমার কেমন সম্পর্ক।

আপনি তো ভীষণ কথা বলতে ভালোবাসেন...।

একদিন আসুন না। এয়ারলাইন্সে থাকার সময় এতো মানুষ দেখেছি, যে গল্প করতে করতে এক ঘণ্টা কখন পেরিয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। আরে আমার নিজস্ব কাজের ক্ষেত্র আছে! জীবনের লড়াই আছে। আপনিই তো সেগুলো প্রথম জানতে চাইলেন।

আপনি কিন্তু শ্রাবন্তীর বর হয়েই থেকে গিয়েছেন...।

হ্যাঁ। সেটা খুব বুঝতে পারি। কিন্তু আমার কাজের মধ্যে দিয়ে, নতুন ভাবনা দিয়ে এবার চলবো।

আপনি সম্পর্কটাকে কতোটা হ্যান্ডল করতে পারলেন বলে মনে হয়?

এই তো হ্যান্ডল করছি। করেই চলেছি। বললাম না, যা হয় ভালোর জন্যই হয়।

শ্রাবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ আছে?

নাহ্। এখন তো আর যোগাযোগ নেই।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন