জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল গত সোমবার (১৭ নভেম্বর)। এদিন মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেন আদালত। রায়ে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবার আনা হয় দুটি বুলডোজার। এ সময় ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বুলডোজার দিয়ে ৩২ নম্বর ভাঙার সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং রাফিয়া পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় এক পুলিশ সদস্য ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়াকে বলেন— পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন এখানে? এমন মন্তব্য শুনে রাফিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বারবার জানতে চান— কে এই কথা বলেছে। পুলিশের দিকে এগিয়ে গিয়ে রাফিয়া বলেন, আপনাদের কেন মনে হয়েছে আমি পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছি?
এ ঘটনার পর এ ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সামাজিক মাধ্যমে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন— ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছা তার নেই।
পোস্টে রাফিয়া লিখেছেন— দেখুন, একটা স্পষ্ট কথা বলি— ভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। এনসিপির প্রতি আশা ছিল, সেই আশা আস্তে আস্তে নিভতেসে। ‘মন্দের ভালো’ বলে কোনো দলের সঙ্গে আমি যাব না।
তিনি বলেন, যতদিন মজলুমের ওপর লাঠিচার্জ হবে, যতদিন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘাড়ে সাওয়ারি হয়ে থাকবে, ততদিন আমি জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আমার কোনো দল নেই, রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ নেই। শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আমার কোনো উদ্দেশ্যও নেই বলে জানান রাফিয়া।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন