সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বদরুদ্দিন ওমর এর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রদর্শিত হয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’।
এরপর সমবেত নৃত্য ‘গীতিময় সেই দিন চিরদিন বুঝি আর এলো না’ পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।
শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘যাঁর গান শুনে শুনে আমরা সময়ের সঙ্গে আগামীর পথে হেঁটেছি, যার গান প্রাণে শিহরণ এনেছে, আপ্লুত করেছে, অভিভূত করেছে তিনি বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমীন। স্বনামখ্যাত এ গুনী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করতে পেরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্বিত ও আনন্দিত।’
সাবিনা ইয়াসমিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া, খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা। পরে শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠানে শ্রোতারা বুঁদ হয়ে যান।
অনুষ্ঠানে শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’,‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ প্রভৃতি গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন।
সংগীতে অবদানের জন্য এর আগে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার এবং ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী। সাবিনা ইয়াসমিন এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চলচ্চিত্রের গান।
সম্মাননা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাবিনা ইয়াসমিন শুরু করেন দেশের গান দিয়ে, গাইলেন ও দেশ তোমার জন্য। একে একে গেয়ে শোনালেন ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’, ‘তুমি ফুলকে বলো চলে যেতে‘, ‘কত সাধনায় এমন ভাগ্য পেলে’ গান।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন