বাংলাদেশে জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ করতে সংশোধিত শ্রম আইনে কঠোর বিধান রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।এসময় উপদেষ্টা রাজশাহীর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর পরামর্শ এবং ইউরোপীয় অ্যাকশন প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। শিশুশ্রম বন্ধে আইএলওর কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ অনুস্বাক্ষর করা হয়েছে। এছাড়া, পেশাগত নিরাপত্তার জন্য কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর সভায় বাংলাদেশ নতুন সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এ বছর একটি আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজন করবে।
জাহাজ ভাঙা শিল্প ও আইএমও প্রার্থিতা বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন জানান, হংকং কনভেনশন মেনে বেশ কিছু শিপইয়ার্ড গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে। অবশিষ্ট ইয়ার্ডগুলোকেও আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসতে সরকার সহায়তা করবে। এসময় উপদেষ্টা ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আইএমও কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’তে বাংলাদেশের প্রার্থীতায় জাপানের সমর্থন চেয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি শ্রম আইন সংশোধনে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান, জবরদস্তিমূলক শ্রম নিষিদ্ধ, জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়ন মাতারবাড়িতে ডকইয়ার্ড নির্মাণ, চট্টগ্রাম বন্দরে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত জানান, পারস্পরিক আস্থা ও জাপান সরকারের সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাসের দুই সচিব এবং নৌপরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন