লন্ডনে যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের নির্বাচনী প্রচারনা সভা অনুষ্ঠিত

জিবি নিউজ24 ডেস্ক //
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন অগ্রগতি এবং ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগ শুক্রবার আয়োজন করে এক নির্বাচনী প্রচারনা সভা।
যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক সাজিয়া স্নিগ্ধার সভাপতিত্বে এবং সহ সাধারন সম্পাদক শাহিন নাহার লীনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর গউস সুলতান,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামিম,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মিসবা সাদাত, এড ইয়াদিয়া জামান প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্য যুবমহিলালীগের সাধারন সম্পাদক সাজিয়া স্নিগ্ধা নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরে বলেন, গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পুরন করেও বাংলার জনগণকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার মিথ্যে আশ্বাস প্রদান করে না।ইতিমধ্যেই তা প্রমান করেছে।এই নির্বাচনী ইশতেহার বাংলাদেশের সকল মানুষের শুধু ভাগ্য উন্নয়নই করবে না বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিবে।সকল প্রবাসীদের কাছে অনুরোধ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার দেখে দেশকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশকে তুলনা করে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনা করে জননেত্রি শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগ কে আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবেন।
প্রধান অতিথি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান শরীফ বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছে দিতে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতায় আসা বাংলার মানুষদের জন্য খুব জরুরি।উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত থাকতে হবে । চলমান প্রকল্প গুলো সম্পূর্ণ করতে হবে। একে বন্ধ করা যাবে না। জনগন এখন অনেক সচেতন বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে জননেত্রি যেভাবে কাজ করছেন তা সবাই জানে। আমাদের বিশ্বাস বাংলার মানুষ আবার আওয়ামীলীগ কে ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ দিবে।
প্রধান বক্তা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আজকে বাংলার মানুষ না খেয়ে থাকে না।ঘড়ে ঘড়ে বিদ্যুৎআছে। জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলার মানুষ ভালো আছে কিন্তু এই লন্ডনে তারেক জিয়া একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। ২১শে আগস্টের হত্যাকাণ্ডের আসামী, তারেক জিয়া তো জিয়ার উত্তরসূরি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি। ৭৫ এ কামাল হোসেন ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। ফরাশ উদ্দিন সাহেব বলেছেন পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ডঃ কামাল হোসেন। মেজর নাসির তার আত্মজীবনী তে বলেছেন , স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি জেনারেলদের সাথে বসে আছেন। আজকে তিনি আঁতাত করেছেন বঙ্গবন্ধুর খুনি , ২১শে আগস্টের খুনি, দুর্নীতিবাজ বিএনপির সাথে তাহলে তাকে রাজাকার ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না।এদের সম্পর্কে বাঙ্গালীকে সজাগ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় আর উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলতাফুর রহমান মুজাহিদ,লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক জামাল আহমেদ খান,যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী,যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়েদ আহমেদ সাদ,বাবুল হোসেন, মহানগর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল হোসেন সুমন,যুবনেতা খালেদ আহমেদ জয়,ইস্ট লন্ডন যুবলীগের কাজি জাফর,যুবনেতা আনোয়ার খান,আওয়ামীলীগ কর্মী রতন মোল্লা,যুক্তরাজ্য যুবমহিলা লীগের মাহমুদা মনি, নাজমা সুলতানা, মুনিরা মলি, সোনিয়া পারভিন, সুফিয়া জেমিন,সঙ্গীত শিল্পি শাহনাজ সুমি, তাঞ্জিনা সোমা, ফজলুল বারি বাবু, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নিয়ে, নির্বাচনী গান পরিবেশন করেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ফজলুল বারি বাবু, তাঞ্জিন সোমা, শাহনাজ সুমি প্রমুখ।