অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ‘মহানায়ক’ তকমা পেয়েছিলেন অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। (১৫ জুলাই) মঙ্গলবার তার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১০ সালের আজকের দিনে তিনি অনন্তের পথে পাড়ি জমান। প্রতি বছর এ দিনে বুলবুল আহমেদকে শ্রদ্ধা ও ভালোসায় স্মরণ করেন তার অনুরাগীরা।
বুলবুল আহমেদকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করবে তার পরিবার। তার মেয়ে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ বলেন, ‘আব্বুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও এতিমদের খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে কয়েকটি চ্যানেলে স্মৃতিচারণ করবো আমি।’
গত বছর বুলবুল আহমেদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, তার বাবার জীবন নিয়ে সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা চলছে। সে কাজ কতদূর এগুলো? জানতে চাইলে জাগো নিউজকে ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে আব্বুকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়েছি, বই লিখেছি। বায়োপিক বানাতে গেলে অনেক পরিশ্রম, গবেষণা ও ফান্ডের প্রয়োজন। স্ক্রিপ্ট লেখাও বেশ জটিল কাজ। এসব অনেক সময়ের ব্যাপার। পারিবারিক কাজ ও অফিস নিয়ে ব্যস্ততার কারণে সেই সময় বের করতে পারছি না। সবকিছু গুছিয়ে উঠতে বছরখানেক সময় লাগবে। এরপর বায়োপিক নির্মাণের কাজে হাত দিতে পারবো।’
বুলবুল আহমেদের জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪১, পুরান ঢাকার আগামসি লেনে। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় তাবাররুক আহমেদ বুলবুল। সিনেমায় অভিনয় করতে এসে তিনি বুলবুল আহমেদ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ‘ডাকসু’ ও এসএম হল আয়োজিত বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতেন। ১৯৬৩ সালে এমএ পাশ করে কাজ নেন বেতারে। পারিশ্রমিকে সংসার চালাতে কষ্ট হতো বলে চাকরি নিয়েছিলেন ব্যাংকে।
বুলবুল আহমেদের অভিনয়জীবন শুরু হয় টেলিভিশন নাটক দিয়ে ১৯৬৮ সালে। ‘পূর্বাভাস’ তার প্রথম নাটক। তিনি ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘বরফ গলা নদী’, ‘ইডিয়ট’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘তোমাদের জন্যে ভালোবাসা’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘টাকায় কি না হয়’, ‘মালঞ্চ’, হৈমন্তী’, ‘এইসব দিনরাত্রি’সহ বহু নাটকে অভিনয় করেছেন, হয়েছেন প্রশংসিত।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন