গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ জমিজমা সংক্রান্ত জেরে আপন ভাতিজাকে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভাতিজা শরিফুল আলম ও ভাই মো মিরাজুল আলম'সহ ৪ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
আজ রবিবার (২৫ মে) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী খামার ব্যবসায়ী মো: শরিফুল আলম বলেন, আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া তার চাচা নূরুল হোসেন আইয়ুবের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ৪ মাস আগে আমেরিকা থেকে দেশে আসেন তিনি। মার্চ মাসে আমাকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাস্তান ভাড়া করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শরিফুলের ছবিও দেয় এক মাস্তানের কাছে। গত ৭ মার্চ মাস্তানদের একজন শহরের ব্যাংকপাড়া এলাকার টেলিকম ব্যবসায়ী মিশান খানের দোকানে গিয়ে শরিফুলের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর জন্য একটি নাম্বার দেয়। শরিফুল পরিচিত হওয়ায় সাথে সাথে বিষয়টি ফোন করে জানায় টেলিকম ব্যবসায়ী মিশান। শরিফুল লোকজন নিয়ে ওই ভাড়াটিয়া মাস্তানকে চাপ দিলে আইয়ুবের ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস করে দেয়। পরে ওইদিনই গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার তৎপর হন। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৫ মে ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে শরিফুল, মিরাজ, টেলিকম ব্যবসায়ী মিশান ও আরো এক ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক ঝন্টুকে আসামী করে আদালতে ১ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা দেয় আইয়ুব।
শরিফুল শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমার আপন চাচা আমাকে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে উলটো আমি ও আমার ভাইসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছে। আমি ও আমার পরিবারসহ সকলেই এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।
ভুক্তভোগী অপর ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক ঝন্টু বলেন, এই সকল ঘটনার আমি কিছুই জানি না। আমি শরিফুলের কাছ থেকে জমি কিনেছি এটাই আমার অপরাধ। এ কারণেই নূরুল হোসেন আইয়ুব চাঁদাবাজির মামলায় আমার নাম দিয়েছেন।
টেলিকম ব্যবসায়ী মিশান বলেন, ছবি পাঠানো বিষয়টি শরিফুল আলমকে জানিয়ে দেয়ায় আইয়ূবের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। তাই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহত ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন