ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ বড় হামলা করবে বলে আশা ইরানের

ইরান শনিবার বলেছে, তারা আশা করছে তেহরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সীমান্ত থেকে আরো দূরে আঘাত করবে। এবং হামলা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ডারকে হত্যার পর তারা এ আশার কথা জানাল।

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

সীমান্তে সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসকে সমর্থনে তারা হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে, দক্ষিণ বৈরুতের ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের হামলা হিসাব বদলে দিয়েছে।

 

সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা মিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘আমরা আশা করি...হিজবুল্লাহ আরো লক্ষ্যবস্তু বেছে নেবে এবং এর (হামলা) প্রতিক্রিয়ায় আরো গভীরভাবে আঘাত করবে।

দ্বিতীয়ত, তারা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রাখবে না।’

 

এর আগে মঙ্গলবার এক হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর নিহত হন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচ বেসামরিক নাগরিকও এ হামলায় মারা গেছে, যার মধ্যে তিনজন নারী ও দুটি শিশু। ইসরায়েল বলেছে, শুকর রকেট নিক্ষেপের জন্য দায়ী ছিলেন, যার আঘাতে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ১২ যুবককে নিহত হয়েছিল।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর আক্রমণ পরিচালনা করেছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে তার বাসস্থানে নিহত হন বলে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস জানিয়েছে। ইসরায়েল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

 

ইরানের মিশন বলেছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল সরকার কিছু নির্দিষ্ট সীমা মেনে চলেছে, যার মধ্যে সীমান্ত এলাকা ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা সীমিত করা রয়েছে। বৈরুতে হামলায় সেই সীমা অতিক্রম হয়েছে।

 

হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, শুকর ও হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েল ও ‘যারা এর পেছনে রয়েছে তাদের অবশ্যই আমাদের অনিবার্য প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে’।

এদিকে ইরান ও হামাসও প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ইরানে হানিয়াকে হত্যার পর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার আওয়াজ আরো তীব্র হয়েছে। অতি রক্ষণশীল কায়হান দৈনিক শনিবার বলেছে, প্রতিশোধমূলক অভিযানগুলো ‘আরো বৈচিত্র্যময়, আরো বিক্ষিপ্ত ও বাধা দেওয়া অসম্ভব’ বলে আশা করা হচ্ছে। কায়হানের একটি মতামতে বলা হয়েছে, ‘এবার তেল আবিব ও হাইফার মতো এলাকা এবং কৌশলগত কেন্দ্র ও বিশেষ করে সাম্প্রতিক অপরাধে জড়িত কিছু কর্মকর্তার বাসস্থান লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।’ 

এ ছাড়া শুক্রবার দিনের শেষে ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভির এক উপস্থাপক আশা প্রকাশ করেছিলেন, ইসরায়েলে ‘আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে আশ্চর্যজনক ও বড় ঘটনা’ ঘটবে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন