রিপোর্টার,সাতক্ষীরা ,,
বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে কারাগারে বসে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি অনুমতি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর।
অনুমতি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে মো. ফাহিম পারভেজ রণি ও একই গ্রামের নূরুন্নবীর ছেলে মো. জাহিদ হোসেন। দুজনই সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন।
গত বুধবার (৩১ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে বলা হয়, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনায় দুই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র, প্রশ্নপত্র, হাজিরাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ এবং কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
কারাগারে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে বহন করতে হবে বলে অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা নেয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আন্দোলনকারিরা গত ১৭ জুলাই দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানার ফটক ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে থানয় ঢুকতে না পেরে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন সহকারি উপ-পরিদর্শক ও একজন পুলিশ সদস্য জখম হন। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক ব্রজকিশোর পাল বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা করেন। আদালত গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জনের মধ্যে ১৩জনের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে রিমান্ড শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। #
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন