ঐতিহ্যবাহী শেরপুর মাছের মেলা ৩তিন ব্যাপি উৎসব চলছে

gbn

বুলবুল আহমেদ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শেরপুরের পশ্চিমের মাঠে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা শুরু হয়েছে চলবে তিন দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে । তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় ২০০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই মাছের মেলা।প্রতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ মূলত আসেন মাছ কেনার জন্য। এই মেলা বাঙালির ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। মেলায় বড়,মাঝারি এবং ছোট সাইজের বিভিন্ন রকমের প্রজাতির মাছ বিক্রি করে থাকেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মাছের পাশাপাশি বিশেষ করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- নকশীকাঁথা,শীতলপাটি এবং কাঠের তৈরি হরেকরকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা বাচ্চাদের খেলনা, টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় জামদানী শাড়ি, বগুড়ার দই ইত্যাদি নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য। এবারের মাছের মেলা হবে ৩ দিন ব্যাপী। এই মেলা উপলক্ষে আশেপাশের মানুষের জন্য খুশির দিনে পরিণত হয়েছে। কেননা অনেক বেকারের টাকা আয় করার উৎস এই মেলা থেকে। গাড়ির পার্কিং দিয়েও লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করেন স্থানীয়রা। ব্যবসা করার জন্য প্রস্তুত শেরপুরসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ী এবং হোটেল ব্যবসায়ীদের আশ্বাস ভালো বেচাকেনা হবে। প্রতিবছর একবার এই দিন আসে আর এই দিনে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ। এদিকে প্রবাসীরাও দেশে এসেছেন বড় মাছ কেনার জন্য।তবে এবারের মেলা পূর্বের থেকে ভিন্ন হতে পারে। পূর্বে মেলায় জুয়া খেলা, পুতুল নাচ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড হতো তবে এবারে সেটা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মেলা পরিচালনা কমিটির ।এবছর মেলার ইজারা মূল্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং আনুমানিক ১০০০ দোকান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা। এবারের মেলা শান্তিপূর্ণ হবে এবং মেলায় যথাযথ প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। মাছ সর্বমোট কত টাকার বিক্রি হতে পারে জানতে চাইলে বলেন ক্রেতা এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে বেচাকেনা। তবে সবমিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে মাছ ব্যবসায়ী বলেন- এই মেলা আমাদের মৌলভীবাজারবাসীর জন্য ঐতিহ্য। এই মেলায় আগত ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জানাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।মূলত পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে জমিদার রাজেন্দ্রনাথ (মথুর বাবু) কুশিয়ারা তীরবর্তী তৎকালীন বৃহত্তর সিলেটে মনুর মুখে এ মেলা শুরু করেছিলেন প্রায় তিনশত বছর আগে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন