জিবিনিউজ24ডেস্ক//
মধ্যপ্রাচ্যের বুকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ, এশিয়ার মাটিতে দ্বিতীয়। ফুটবলের মহাযুদ্ধের সাক্ষী হতে লাখো পর্যটক কাতারে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ আমিরাতেও বিশ্বকাপের প্রভাবটা কম পড়বে না। কাতার থেকে যে আমিরাতের দূরত্বটা খুব বেশি নয়! ফলে আমিরাতেও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বৈকি!
তবে এই বাড়তি পর্যটকের জন্য আমিরাতের হোটেলগুলো লোকবল বাড়াবে না বলেই জানাচ্ছে গালফ নিউজ। কারণ হোটেল কর্তৃপক্ষগুলোর বিশ্বাস, এক্সপো মাসের জন্য যে লোকবল আছে সেটা দিয়েই মধ্য নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে পর্যটকের ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব।
করোনা মহামারির কারণে হোটেল অপারেটরগুলো লোকবল কমিয়ে ফেলেছিল। এরপর ২০২১এর শেষ দিকে এক্সপোর সময় করোনা মহামারির ধাক্কা থেকে সেরে উঠেছিল দেশটি। তবে এরপরও বাড়তি লোকবল নিয়োগে যথেষ্ট সাবধানী হোটেল অপারেটরগুলো। এয়ারলাইন্স ব্যবসা আর বৃহত্তর পর্যটন শিল্পে অবশ্য পরিস্থিতিটা ভিন্ন। পুরোনো কর্মীদের ফেরত আনা, কিংবা বাড়তি লোকবল নিয়োগে যথেষ্ট মনোযোগী হয়েছে দেশটির এই খাত দুটো।
তবে হোটেল অপারেটরগুলো তাদের চলমান লোকবল নিয়েই কাজটা সামলাচ্ছে। দুবাইয়ের লেভা হোটেলের ব্যবস্থাপক থমাস কুরিয়ান জানান, ‘ছয় মাসের এক্সপো-২০২০ এর চাপটা আমরা ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছি। কোভিডের পর থেকে এই কম লোকবল নিয়ে কাজ করাটাই রীতিতে পরিণত হয়েছে এখানে। তবে মহামারির কারণেই এই পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। আর এটা খুব ভালোভাবেই আমাদের জন্য কাজে দিয়েছে।’
‘আমরা আমাদের স্টাফদের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে তুলছি। কারণ এটা আমাদের জন্য খুব ব্যস্ত একটা মাস হবে। ভক্তরা যে কোনো সময়ে এসে উঠবেন আমাদের কাছে। যে টিকিট বিক্রি হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে সে তুলনায় দেশটিতে খালি থাকা কক্ষের সংখ্যায় বড় একটা পার্থক্য আছে। এটা আমাদের জন্য বেশ লোভনীয় একটা বাজার হবে, যা আমরা কাজে লাগাতে চাইছি।’ আমিরাতের বাকি সব হোটেল অপারেটররাও কথা বলেছেন একই সুরে।
মধ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে দুবাই আর আমিরাতের হোটেলগুলোতে পর্যটকের ভিড় বাড়বে ১৫-২০ শতাংশ। বর্তমানে কাতারে যে হোটেল রুমের সংখ্যা আছে, আর কাতার বিশ্বকাপের যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয়েছে, তাতে বিশ্বকাপ চলাকালে সেখানকার হোটেলগুলো যথেষ্ট পর্যটক জায়গা দিতে পারবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যার ফলে আমিরাতের হোটেলে বাড়বে ভিড়।
এখানেই শেষ নয়, আমিরাতগামী ও আমিরাত থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ফ্লাইটের কারণে এখানে ঘাটি গাড়বেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। ইতোমধ্যেই বিক্রি হওয়া টিকিটের সংখ্যা বলছে, হোটেল অপারেটরগুলো একটা বিশাল সংখ্যক পর্যটকই পেতে যাচ্ছে। গেল সপ্তাহে ফিফা জানিয়েছিল, ফুটবলের সর্ববৃহৎ এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। এখনো বাকি আছে আরও ৫ লাখ টিকিট। দোহায় এই টুর্নামেন্টের সময় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার রুম খালি থাকবে, যেখানে শুধু দুবাইয়েই হোটেল রুম আছে এর চেয়ে কমপক্ষে ১০ হাজার বেশি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন