বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন : মানববন্ধনে জাতীয় নেতৃবৃন্দ

gbn

অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা, দেশে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনে উপস্থিত জাতীয় নেতৃবৃন্দ।  

বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে "নিত্যভোগ্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে" জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বক্তব্য রাখেন জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মাইনুজ্জামান লিটু, এফডিপি আহ্বায়ক ডা. এ আর খান, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, মুসলিম সমাজ সভাপতি মাসুদ হোসেন, এনডিএম'র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. শরীফ শাকি প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যে কোনো অজুহাতে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তেল, চাল, ছোলা, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ দেশে থাকার পরেও দাম বেড়েই চলেছে। টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের লাইন। একটু কম দামে পণ্য কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ খালি হাতে ফিরছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে ভোগ্য পণ্যের দাম আরও কয়েক দফা বেড়েছে। অথচ এ যুদ্ধের প্রভাব দেশে উৎপাদিত পণ্যে বা বেশিরভাগ ভোগপণ্যে পড়ার কথা নয়।

তিনি আরো বলেন, কয়েকটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে গরিব মেহনতি মানুষের পকেট কাটছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। খরচ কমিয়েও প্রয়োজনী ভোগ্যপণ্য কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দাম বৃদ্ধি এখন যে পর্যায়ে আছে তা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এরপর মধ্যবিত্তের পক্ষেও আর প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনা কঠিন হবে। শুধু উচ্চবিত্তরা কিনে খেতে পারবে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেটের লাগাম না টানলে আসন্ন রমজানে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, শ্রমজীবী-মেহনতী মানুষের জীবন ধারণের ন্যূনতম যোগান দিতে সারা বছরের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তা না হলে বছরের একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মানুষকে জিম্মি করবে। পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাই পারে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে।

তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে যেকোনো একটা শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন, কতটুকু খাবার আছে। আজ শ্রমিকের যদি অন্ন (খাবার) না জোটে, কল-কারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না। আজকে যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে, তবে এই দেশ মানচিত্রে সীমিত হয়ে যাবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন