জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
গুগলের অফিস চালু হচ্ছে বাংলাদেশে। শিগগিরই এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গুগল বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ তানভীর রহমান। একইসঙ্গে গুগল যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালক হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। তিনি একইসঙ্গে বাংলাদেশ অফিস ও যুক্তরাষ্ট্র অফিসে কাজ করবেন।
নিজের অনুভূতিতে তানভীর রহমান বলেন, ‘গুগল বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। আমি বাংলাদেশ অফিস ও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করবো। শিগগিরই আমার নিয়োগের বিষয়টি গুগল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। নতুন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পাশাপাশি আমি তাদের সম্মানিত করতে চাই যারা বছরের পর বছর ধরে আমাকে বিশ্বাস করেছে। মন থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলেন তানভীর রহমান। জাহিদ সবুরের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই পদ পেলেন তিনি। আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই পদে কাজ শুরু করবেন তিনি। নতুন পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহু-দেশীয় আন্তর্জাতিক দায়িত্ব থাকছে তার কাঁধে।
জীবনে অনেক কঠিন পথ সফলতার সঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন তানভীর রহমান। তার এই পথচলা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। অনেক জটিল পথ অতিক্রম করলেও শেষ পর্যন্ত সব জায়গায় সফলই হয়েছেন তিনি। গুগলের নতুন দায়িত্ব পাওয়া সেটাই প্রমাণ করে।
তানভীর রহমানের জন্ম বরিশালে। পেশাগতভাবে অনেক আগে থেকেই কম্পিউটার সায়েন্স ফিল্ডে কাজ করেন তিনি। নতুন অবস্থান থেকে দেশের আইটি খাতের জন্য ভালো কিছু করা যায় এমন সুযোগ খুঁজতে চান ৩২ বছর বয়সী এই তরুণ।
মূলত একটি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তানভীর রহমান। সবার আশা ছিল, পরিবারের ব্যবসার হাল ধরবেন তিনি। কিন্তু তার সত্যিকারের স্বপ্ন ঠিক তা ছিল না। ১০ বছর আগে কারও বিশ্বাস হয়নি কেউ একজন শুধু প্রোগ্রামিং নিয়ে এভাবে থাকতে পারে। সেই সময় তানভীরের পক্ষে ভালো একটি কোডিংয়ের বই এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগই ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এর কয়েক বছর পর তিনি উপলব্ধি করেন সেই সময়ের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারেন। জীবনের এমন অভিজ্ঞতা তাকে দৃঢ় সংকল্প এবং সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
জীবন যেখানেই ফেলুক বা যত অন্ধকার মুহূর্তই আসুক না কেন, সেখান থেকে আশার আলো সবসময়ই বের করেছেন তানভীর রহমান। শক্তিশালী এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের জগতে অনেক ওপরে ওঠা শুরু করেন। নিজের যোগ্যতাকে এমন একটা অবস্থানে নিয়ে গেছেন তিনি, যেকোনও প্রতিষ্ঠানই একজন নির্বাহীর কাছে এমনটা আশা করে থাকে। সহকর্মীদের কাছে তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড’ নামে পরিচিত। তারা ধরেই নিয়েছিলেন এই ছেলে একদিন গুগলের অনেক বড় পদে যাবে! সেটাই সত্যি হলো।
গুগল এর আগে বাংলাদেশে কাজী মনিরুল কবীরকে কান্ট্রি কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তার সময়ে বাংলাদেশে গুগলের অফিস চালুর কথা শোনা গেলেও পরে আর তা হয়নি। কাজী মনিরুল কবীর সিঙ্গাপুরে গুগলের অফিস থেকে বাংলাদেশ কার্যক্রম সামলাতেন।
এছাড়া গুগলে কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছেন বাংলাদেশের কাজী আনওয়ারুস সালাম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন