ছায়ফুল আলম লেমন : যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার উদ্যোগে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোকদিবস ও ২১ আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এক আলোচনা সভা গতকাল (১৫ই আগষ্ট রবিবার) বৃষ্টলের স্থানীয়চিলি ফ্লেক রেষ্ষ্টুরেন্টে অনুষ্টিত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুবলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা ইন্জিনিয়ারখায়রুল আলম লিংকন এর পরিচালনায় অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা ওযুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী ওযুক্তরাজ্য যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা ফকরুল ইসলাম মধু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আরিফউদ্দিন ইসলাম, ট্রেজারার সমর আলী, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও গোয়াইনঘাট আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতিগোলাপ মিয়া, মুশাদ আলী, বৃষ্টল বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও যুবলীগ সিনিয়র সভাপতি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাউজসভাপতি ফখরুল আলী, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক লিটন আলম বদরুল প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ বৃস্টল বাথ এন্ড ওয়েস্ট শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিক উদ্দীন খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব আলী, নজরুল ইসলাম, যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ,বৃষ্টল যুবলীগেরসাংঘঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান জুনেল।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আওয়ামীলীগ এর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব আলী ও শহীদদেরআত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান। দোয়ার পর ভাষাআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করাহয়।
সভায় বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন
১৫ই আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন। ১৯৭৫সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বেরলাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণারচিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেসপরিবারে হত্যা করা হয়।
সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবুনাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকশেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকেরভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আব্দুল্লাহবাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল আহমেদসহ কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন বলে উল্লেখ করে শোকাবহ এই দিনে,বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে ১৫ই আগস্ট এর হত্যাকাণ্ডের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদেরবিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাসির রায় কার্যকর করা ও সকল ষড়যন্ত্রকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারজন্য জোর দাবী জানান।
বক্তারা বলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ বাঙালিশুধু একজন মানুষই নন, একটি চেতনা, একটি অধ্যায়। তিনি এ দেশের গণমানুষের মুক্তির উপলক্ষ, এ জনপদের বহুদিনেরলালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর হাত ধরেই লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকার অধিকার পায় এ বঙ্গভূমি। পাকিস্তানিশাসক-শোষকদের কূটকৌশল ছিন্ন করে তাঁর দূরদর্শী রাজনীতি ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের বলেই ১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে অংকিত হয়আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ।দেশে বেশি বেশি বিনিয়োগ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানেভুমিকা রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্টানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা রফিক আলী, কাওছার রশীদ,যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: ওমর ফারুক, মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস সোহেল, যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার আহমদ রাসেল,মোবারক আলী, জাহেদ আহমদ, আবুল মিয়া,রকিব আহমদ কুদ্দুস, কাউসার আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন