দেশের সকল সাংবাদিকদের হত্যার বিচার ও নির্যাতন বন্ধের দাবী

gbn

সাতক্ষীরা   //

সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম আলাউদ্দীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে স.ম আলাউদ্দীনসহ দেশ এবং দেশের বাইরে মৃত্যুবরণকারী সকল সাংবাদিকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাংলাদেশ বেতার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই-এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক জনতার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়, আর টিভি'র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, জেলা গণফোরামের সভাপতি আলী নূর খাঁন বাবুল, প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক খবর সংযোগের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দৈনিক কাফেলার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, ৭১ টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বরুণ ব্যানার্জি, দৈনিক পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি ডাঃ মহিদার রহমান, ডিবিসি টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম. বেলাল হুসাইন, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজ-এর আব্দুস সামাদ, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, জিএম আমিনুল হক, হাবিবুল হাসান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা, বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অন্যায়ভাবে যেসব সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। একইসাথে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেসব সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে স.ম আলাউদ্দীন ছিলেন প্রথম হত্যার শিকার। ১৯৯৬ সালের ১৯জুন তাঁকে নিজের পত্রিকা অফিসে কাটা রাইফেলের গুলিতে হত্যা করেছিল সাতক্ষীরার চিহ্নিত কুচক্রীমহল। স.ম আলাউদ্দীনকে হত্যার পর খুনিচক্র থেমে থাকেনি। তারা তাঁর পরিবারকে হুমকি দিয়ে নির্যাতন করে চলেছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। একের পর এক মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, স.ম আলাউদ্দীন হত্যার পর একে একে খুন হয়েছেন যশোরের শামসুর রহমান কেবল, খুলনার হুমায়ুন কবির বালু, মানিক সাহা, রশিদ খোকন, বেলাল হোসেন, নহর আলী, সাতক্ষীরার চঞ্চল সিংহসহ অনেকে। বক্তারা এসময় সকল সাংবাদিকদের হত্যার বিচার ও নির্যাতন বন্ধের জোর দাবী জানান।

স.ম আলাউদ্দীনের অবদানের কথা স্মরণ করে বক্তারা আরো বলেন, তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ভোমরা স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রমিকদের স্বার্থে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করেছিলেন। আধুনিক কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে নিজের জমিতে পেশাভিত্তিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাতক্ষীরার গণমানুষের ভাষা জাতির সামনে তুলে ধরতে “দৈনিক পত্রদূত” পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সিদ্ধহস্ত শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি সাতক্ষীরাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিয়ে সুষম উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। অর্থনীতির বিকাশে তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করায় সাতক্ষীরার উন্নয়ন ও অগ্রগতি থমকে যায়। তাঁর নীতি, আদর্শ, মননশীল চিন্তা ও কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে অ¤øান থাকবে।

এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, দৈনিক জন্মভূমির শহিদুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, সাংবাদিক তৌফিকুজ্জামান লিটু, আব্দুস সালাম পান্না, ইদ্রিস আলী, আব্দুর রহমান, সেলিম হোসেন, হাসান গফুর, জাকির হোসেন, মাসুদ হাসান মনি, মেহেদী হাসান শিমুল, সাকিব হোসেন, হাশেম আলী প্রমুখ।##

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন