গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের উদ্দোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মুক্তিযোদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর মৃত্যুবাষির্কীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত,

gbn

গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয়   কমিটির উদ্দোগে মহান একুশে ফেব্যরয়ারী  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও  মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর মৃত্যুবাষির্কী পালন উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্লোবাল জালালবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়ালী দোয়াr মাহফিল ওআলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয়

সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্ব এবং সাধারন সম্পাদক ময়নুল হক চৌধুরী হেলালের পরিচালনায় উক্ত সভায়  অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্বা ডাঃ অরুপ রতন চৌধুরী ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটারাস এসোসিয়েশন এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম ওবিই, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর মোহাম্মদ মকিস মনসুর, 

সংগঠন এর কেন্দ্রীয়  সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ছোটন,সহ সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, মিঠু চৌধুরী,আব্দুল মোনিম জাহেদি ক্যারল শেখ ফারুক আহমদ,ইসহাব উদ্দিন,  চীফ ট্রেজারার রফিকুল হায়দার, সহ সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদ দীপক। 

সভার শুরুতাই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন মৌলানা আব্দুল কুদ্দুস।

এছাড়াও সংগঠন এর ফ্রান্স শাখার সভাপতি ফয়ছল উদ্দিন বাফেল, নিউইয়র্ক থেকে মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ,সাম্মী আক্তার হেপি নিউজার্সী শাখার সাধারন সম্পাদক সামসুদ্দিন চৌধুরী অপু ও বক্তব্য রাখেন। 

সভায় ভাষা শহীদ ও মরহুম ওসমানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করা হয় ।

ডাঃ অরুপ রতন চৌধুরী আমার ভাইয়ের রক্তে রামদিনের একুশে ফেব্রুয়ারি ও আমি বাংলায় গান গাই এই দু'টি গান পরিবেশন করার মাধ্যমে সবাইকে মুগ্ধ করে তুলেন ।

ভাষা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দিনটি এখন আর শুধু শোক ও বেদনার দিন নয়। জাতি ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সর্বজনীন উৎসবের দিন। একুশ আমাদের অহংকার ; একুশ আমদের আত্ম পরিচয় ; একুশের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা।

"আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বলে উল্লেখ করে 

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। 

ইতিহাসের সঠিক মূল্যায়ন করা খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন  জেনারেল এমএজি ওসমানীকে তার যথাযথ সম্মান প্রদান করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তার অবদান তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। একটি জাতি যদি নিজেদের ইতিহাস সঠিকভাবে না জানে, তবে তারা সত্যিকার অর্থে উন্নতির পথে এগোতে পারে না। জেনারেল এমএজি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী  প্রধান সেনাপতি,যার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ইতিহাসে বিজয়ী সমর নায়ক হতে পারা একটি বিরল সম্মান এবং সৌভাগ্যের বিষয়। সৃষ্টিকর্তা জেনারেল এমএজি ওসমানীকে সেই সম্মানে সম্মানিত করেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, জাতি তাকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দৃঢ়চেতা সাহসী নেতা হিসেবেও জেনারেল এমএজি ওসমানী অমর হয়ে থাকবেন। 

পরিশেষে সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন