সুনামগঞ্জে ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার: কোটিপতি সোর্স ও গডফাদার অধরা

gbn

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে দিনদিন বেড়েই চলছে মাদক বাণিজ্য। জেলার ছাতক, দোয়ারা, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত পথে ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁরের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এব্যাপারে তেমন কোন জোড়ালো অভিযানের খবর পাওয়া যায়না। যার ফলে একাধিক মামলার আসামীরা নিজেদেরকে প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে- অবাধে মাদক ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য করে ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি। জানা গেছে- ৩পিছ ইয়াবা ও সেবনের কাজে ব্যবহ্নত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ সুনামগঞ্জ পৌরশহরের আরপিন নগরের আসাদুজ্জামান পংকজ (৩৪) ও তার সহযোগী পাশের মোহাম্মদপুর এলাকার মনোয়ার হোসেন উজ্জল (২৫)কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পর সামনে অবস্থিত দুধের আউটা গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী জিয়াউর রহমান জিয়া, টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন জয় বাংলা বাজারের বাসিন্দা আক্কল আলী, টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন লাকমা গ্রামের রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, পাশের লালঘাট গ্রামের কালাম মিয়া, চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া, পাশের কলাগাঁও গ্রামের রফ মিয়া, জঙ্গলবাড়ি গ্রামের আইনাল মিয়া ও বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত কামড়াবন্দ গ্রামের গডফাদার তোতলা আজাদ নিজেকে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকের সোর্স পরিচয় দিয়ে গত ১০বছর যাবত মাদক, কয়লা, বিড়ি, গরু, চুনাপাথর পাচাঁর করাসহ প্রশাসেনর নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করে প্রত্যেকেই ১০ থেকে ৫০কোটি টাকার মালিক হয়েছে। নিজ এলাকা ও সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিভাগীয় শহর সিলেটে রয়েছে তাদের একাধিক বাড়ি ও জায়গা-জমি। এছাড়াও তাদের রয়েছে শতশত বিলাস বহুল মোটর সাইকেল। আর এসব মোটর সাইকেল দিয়ে গডফাদার ও তার সোর্সরা সুনামগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পরিবহন করে। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদারকে গ্রেফতার করে তাদের মাদক, চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। উদ্ধার করা হয়নি তাদের কোটিকোটি টাকার অবৈধ অর্থ-সম্পদ ও বাড়ি-গাড়ি। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণে সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদারের দাপট ও অবৈধ সম্পদ দিনদিন শুধু বেড়েই চলেছে। তাই সংশ্লিস্ট প্রশাসেনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেন- গ্রেফতারকৃত ২জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এবার আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন