বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের লিলু মিয়ার কন্যা গত ২ বছর পূর্বে একই উপজেলার করিমপুর গ্রামের কাইম মিয়ার পুত্র ফয়েজ মিয়ার সাথে সরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেন। কিছু দিন ভালই চলছে হঠাৎ করে স্বামীর লোভ বেড়ে গেল তার শাশুরির দিকে! তিনি তাকেন প্রবাসে। এ সুবাদে স্বামী ফয়েজ তার স্ত্রীকে নানান কৌশল করে বিদেশ থেকে টাকা আনার কথা বলে। স্ত্রীও স্বামী কথা বিশ্বাস করে তার মার কাছ থেকে বিভিন্ন টাকা পয়সা এনে দেওয়ার পরও তার স্ত্রীর কাছে যে টাকা থাকতো প্রায় সময় জোর জবস্তি করে নিয়ে নিত। অবশেষে খবর পাওয়া যায় এই টাকা নিয়ে সে মদ গাঁজা সেবন করতো। এবং তা সেবন করে ঘরে এসে তার স্ত্রীকে মারধর করতো। পরে স্বামী ফয়েজ তার স্ত্রীর কাছ বলে তর মা থাকে প্রবাসে থাকে। আমার দুই লক্ষ টাকা লাগবে। এর পর তার স্ত্রী তার মা- বাবার কাছে এ বিষয়টি জানালো তিনি এতো টাকা যৌতুকের দিতে অপারগতা জানান।
এ ব্যাপারে হাসপাতে আহতদের সূত্রে গর্ভবতী জনৈক স্ত্রী বলেন, আমার মা, আমাকে গোপনে কিছু টাকা দিতেন। এ টাকা পর্যন্ত আমি আমার স্বামীকে দিয়ে দেই। কিন্তু সে আমার সাথে মিথ্যা কথা বলে এই টাকা নিয়ে মদ গাঁজা খেয়ে আমাকে নানান সময় মারধর করে।
এ ব্যাপারে আহত লিলু মিয়া জানান, গত ১৬ আগস্ট
আমার মেয়ে তার স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের খবর জানায়। এ খবর পেয়ে স্থানীয় আমি মেম্বারকে না পেয়ে পরে আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আমার মেয়ের বাড়িতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার মেয়ে আমাকে ঘটনার কথা বলার সাথে সাথে আমার সামনে আমার গর্ভবতী মেয়েকে বেধরক মারপিট শুরু করে। তখন আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে তার হাতে থাকা দাঁড়ানো অস্ত্র দিয়ে সরাসরি আমার মাথায় কুব দিলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এমনতা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাটানো হয়।
এ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমেদ ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশকে নির্দেশ দেন যে ঐ আহত মহিলাকে উদ্ধার করার জন্য। এমন খবর পেয়ে ফাঁড়ি পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মহিলাকে উদ্ধার করে। তবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফয়েজ মিয়া পালিয়ে যায়। আহত গর্বভতী মহিলা এখন হবিগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন