জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজার ৮৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক আটক বা বন্দি আছেন বলে জনিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১২ জুন) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সংবাদ পেলে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো তা যাচাই করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেয়।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে মিয়ানমারে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত ৬৩ জন আটক আছেন। যারা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হবে। মিয়ানমারে আটক ৬৩ জনের মধ্যে ১৩ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি ৫০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলমান।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর এ যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বহুমাত্রিক, বাংলাদেশেও এ যুদ্ধের বহুমাত্রিক প্রভাব আছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু বাস্তবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান যৌক্তিক রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকারদের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারিতে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৫৬ ডলার, যা এখন বেড়ে ১২০ ডলারের বেশি হয়েছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও অনেক বেড়েছে। জ্বালানি তেল ও এলপিজির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের জনগণের ওপর এর প্রভাব যেন না পড়ে সেজন্য সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, যা সামগ্রিক বাজেটের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এছাড়া বাড়তি মূল্যে তেল ও এলএনজি ক্রয়ের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রে মাদকাসক্তের চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণকারীদের তথ্য অনুযায়ী নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে।
 
                            
                             
                                                                                                
 
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                    
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন