বিয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করলেই এবার অভিবাসীরা পড়তে পারেন বিতাড়নের ঝুঁকিতে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এক নীতির ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব অভিবাসীর বৈধ কাগজপত্র নেই কিন্তু স্ত্রী বা স্বামীর মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এখন থেকে সরাসরি বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে মার্কিন ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
নতুন এই নির্দেশনা এসেছে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) থেকে।
সোমবার জারি হওয়া এই নীতিটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে গ্রিন কার্ড পেতে চাওয়া অভিবাসীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই নির্দেশনা।
ইউএসসিআইএসের পলিসি ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, পরিবারের সদস্যরা অভিবাসনের আবেদন করলেও সেটি বৈধতা দেয় না কিংবা বিতাড়নের হাত থেকে রক্ষা করে না।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, যেসব আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন এবং যেগুলো চলতি বছরের ১ আগস্ট বা তার পর জমা পড়বে— সব আবেদনেই নতুন এই নীতি প্রযোজ্য হবে।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বিয়ের মাধ্যমে গ্রিন কার্ড পাওয়ার রাস্তাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
কলাম্বিয়া ল স্কুলের ইমিগ্র্যান্টস’ রাইটস ক্লিনিকের পরিচালক ইলোরা মুখার্জি এনবিসিকে বলেন, ‘নীতিটির আওতা অনেক বড়। এর ফলে ইউএসসিআইএস এমন ক্ষমতা পাবে যে, আবেদন প্রক্রিয়ার যেকোনো পর্যায়ে অভিবাসীকে বিতাড়নের উদ্যোগ নিতে পারবে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন