ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে সহযাত্রীর হাতে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত সেই যাত্রী হুসেইন আহমদ মজুমদারের খোঁজ পাওয়া গেছে। ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে নতুন তথ্য দিয়েছেন ভারতের আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার ৩২ বছর বয়সী এই যুবক।
হুসেইন আহমদ বলেন, আমি বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ২টায় উড়োজাহাজে উঠেছিলাম। তখন খুব ভয় পাচ্ছিলাম, শরীর কাঁপছিল বলে এক যাত্রীর পাশে গিয়ে বসি। তার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হাফিজুল রহমান। নাম শুনে বুঝতে পারি তিনি মুসলিম। আমি তাকে সালাম দিই। তখনো আমি নার্ভাস ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি ওই যাত্রীর সঙ্গে কোনো অসদাচরণ করিনি, কিন্তু তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাকে তিন-চারবার থাপ্পড় দিয়ে বসেন। চড় খাওয়ার কারণে মাথায় ব্যথা হচ্ছে ও সহজে উঠতে পারছি না।
তিনি আরও জানান, তিনি মুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে শিলচর যেতে ইন্ডিগোর ফ্লাইটে চড়েছিলেন। মাঝ আকাশে তিনি ‘প্যানিক অ্যাটাকের’ শিকার হন। উড়োজাহাজ অবতরণের পর কেবিন ক্রুরা তাকে প্লেন থেকে নামাতে সাহায্য করছিলেন। সেই সময়ই ওই বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনার পর হুসেইনের পরিবার গত শুক্রবার তাঁর নিখোঁজ থাকার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর গত শনিবার তাঁকে আসামের বরপেটা জেলার একটি রেলস্টেশনে পাওয়া যায়। শিলচর থেকে ওই স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের পর হাফিজুল রহমানকে আটক করা হয়। উড়োজাহাজের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আসামের এই বাসিন্দা আরও বলেন, ঘটনা দেখে কেবিন ক্রুরা হস্তক্ষেপ করেন ও জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি আমাকে চড় মারলেন। তারা আমাকে পানি দেন ও শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর হুসেইন মজুমদার ও অভিযুক্ত হাফিজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শরীর বেশি খারাপ হয়ে পড়ায় পরে তাকে থানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় হুসেইন শিলচরের ফ্লাইটে আর উঠতে পারেননি।
সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন