জালালুর রহমান, জুড়ী (মৌলভীবাজার) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ধামাই গ্রামে প্রায় ৫০টি পরিবারের বসবাস। দীর্ঘ অর্ধশত বছর ধরে এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্য একটি কাঁচা ও ভাঙাচোরা রাস্তা ব্যবহার করে আসছেন। প্রায় ১ কিলোমিটার এই রাস্তাটি বর্ষাকালে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থীসহ বয়স্কদের চলাফেরা করতে মারাত্মক সমস্যা হয়।
উক্ত রাস্তাটি পাকা বা ইটের দ্বারা নির্মিত হলে স্থানীয় জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাতায়াত সহজ হবে। এলাকার যেকোন পুরুষ, মহিলা, শিশু-কিশোর আকস্মিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত এম্বুলেন্স বা কোন গাড়ী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে চাইলেও গাড়ীর রাস্তা না থাকায় রোগী নিয়ে যাতায়াত সম্ভব নয়। এরকম ঘঠনায় একাধিক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর ঘঠনা ও ঘঠেছে। একজন লোক মারা গেলে মসজিদে জানাজার জন্য নিয়ে আসাটাও অনেক দুস্কর।
দক্ষিন বড়ধামাই গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি ও জুড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এস এম জালাল উদদীন বলেন, বিগত ৫ দশক যাবত উক্ত গ্রামের সাধারণ লোকেরা দক্ষিণ বড়ধামাই গ্রামের মৃত হাজী মোক্তার হোসেনের বাড়ীর নিচের রাস্তা হয়ে হাজী ছওয়াব আলী মিয়ার বাড়ীর টিলার পূর্ব-উত্তর পাশ হয়ে পশ্চিম দিকে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জমির উদ্দিন সাহেবের বাড়ীর সামনা হয়ে হযরত বোতাইশাহ (র:) মোকাম মসজিদের পশ্চিম সীমানার রাস্তা হয়ে সাবেক ইউপি সদস্যা আমিনা বেগম রুজির বাড়ির সম্মুখস্থ ইউপি রাস্তায় সংযোগ হয়ে চলাচল করে আসছেন। তিনি আরো বলেন, টালিয়াউরা গ্রামসহ আশ-পাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সংস্কার বা উন্নয়নের মুখ দেখেনি। আমাদের গ্রামবাসীদের জন্য এটা একমাত্র ও খুবই গুরুত্বপূর্ন রাস্তা।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা ও জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারী কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী নুশরাত ইসলাম বুশরা বলেন, শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে নিয়মিত ভোগান্তির পাশাপাশি টালিয়াউরা গ্রামের সাথে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষার এ রাস্তাটি সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ও অবহেলায় গ্রামবাসী অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিপূর্বে একাধিকবার আবেদনও করা হলেও কোন কার্যকরী উদ্যেগ গ্রহন নাকরায় আমরা এলাকাবাসী জুড়ী উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে সরেজমিনে উক্ত রাস্তাটি পরিদর্শনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
হযরত বোতাইশাহ (র:) মোকাম জামে মসজিদ পঞ্চায়েত উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, এলাকার প্রায় ১কিলোমিটার এ রাস্তাটির মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ৩০ ফুট, হাজী ছওয়াব আলী সাহেবের বাড়ীর পূর্বপার্শ্বের রাস্তা প্রায় ২০ ফুট সংস্কার করা হয়ে গেলে অতি সহজে জরুরী ভিত্তিতে এম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিস বা প্রয়োজনে গাড়ী নিয়ে আসা সহজ হবে।
সরেজমিনে রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত রাস্তাটি নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন