দে লো য়া র জা হি দ
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এবছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে । দেশে প্রতি বছর প্রায় ১০ মিলিয়ন বাংলাদেশী নাগরিক এক বা একাধিক প্রাকৃতিক বিপদ দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের একটি ঐতিহ্যগত প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতি আছে যা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম যার উপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এ বছর পরিস্থিতির ক্রমাবনতি শংকিত উপদ্রুত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। সরকার বিপদ সনাক্তকরণ এবং প্রশমন সহ সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে সংগঠিত করতে ব্যস্ত। সরকারের পদক্ষেপ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি চ্যালেঞ্জের মুখে, এর কারণ হলো এ সমস্যার ব্যাপকতা। দূর্গত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থাকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, পানিবন্দি মানুষের হাহাকার ও আর্তনাদ ছাপিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে দূর্গত মানুষ। নারী, শিশু ও বয়স্করা নানাহ অসুখ, বিসুখ এ আক্রান্ত, নেই প্রযাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা, নেই বিশুদ্ব পানের পানির সরবরাহ।
দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।---আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, ‘ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের দেশে আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। মঙ্গল ও বুধবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করবে। তবে ওই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যায় সিলেটের ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। তিনি বলেন, গত দুই দিনে চার ফুট করে আট ফুট পানি বেড়েছে ওই এলাকায়, যা চিন্তাতীত।(প্রথমআলো) সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আরো বিস্তৃতি ঘটেছে।---পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।---পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে মানুষ। সবচেয়ে বিপদে আছেন শিশু ও বয়স্করা। আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। যেখানেই শুকনো ও উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।(১৮ জুন, (বাসস)
সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সড়ক বাধা হয়ে থাকলে তা কেটে পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।---স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিলেট সিটি করপোরেশনকে যেসব রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না, সেসব রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কাটার বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এই বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।(সূত্র: প্রথমআলো)
বন্যাকবলিত সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার পরিস্থিতি বাসস আরো জানায় জেলার ৯০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন শুক্রবার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়, লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যায়। উদ্ধারের জন্য সিভিল প্রশাসন জলযান নিয়ে মাঠে নামে। সিলেট এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন, পানিবন্দির তুলনায় জলযান অপ্রতুল। তারা আরও সাহায্য চায়।---বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে জানানো হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে নির্দেশ দেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে মোতায়েন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে ৩১টি স্পিডবোডসহ সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে নামে। রাতের দিকে নৌবাহিনী ৩০ জন ডুবরিসহ তাদের নৌযান নিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। শনিবার দুপুরে কোস্টগার্ড সেখানে পৌঁছে। সবাই সম্মিলিতভাবে সিলেটে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে সাড়ে চারশ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করে। প্রতিমন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।---তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫ হাজার মানুষকে তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে রান্না করা খিচুড়ি, মুড়ি, চিড়া, গুড়, পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে আমরা দুই জেলাতে ৮০ লাখ টাকা করে নগদ দিয়েছি। রেডিমেড খাবার বিতরণের জন্য এসব টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অনেক নদীর দেশ বাংলাদেশ, ব্রহ্মপুত্র নদীর ব-দ্বীপ এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত অনেক শাখা নদীতে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের অববাহিকার অংশ হওয়ার কারণে এবং গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের কম উচ্চতায়, বাংলাদেশ নিকটবর্তী পাহাড় থেকে জলের ঝলকানি, উজান থেকে আসা জলপ্রবাহ এবং স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখোমুখি হয়। ড্রেনেজ সমস্যার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় । বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এরূপ সমস্যার সম্মুখীন হয়।
টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে উপজেলার হাওড়া নদীর দক্ষিণাংশে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আকস্মিক এই বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।(মানবজমিন) বাসস জানায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শুক্রবার রাতে জেলার আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আখাউড়ার সীমান্তবর্তী মোগড়া ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। অনেক গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা জানান, হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দীদের দ্রুত তালিকা করে আমরা সহায়তা করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম জানান, ১০ থেকে ১২ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অনেকগুলো পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পাশপাশি তাদের শুকনা খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিলেটে স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যয়কর অবস্থায় দূর্গত এলাকার মানুষ। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বনবাসী মানুষ, যতদূর চোখ যায় অথৈ পানি আর পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল সংযোগ, নেই খাবার, নেই পানীয় জল, নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার সব নিম্নাঞ্চল, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধরত মানুষ। সমকাল জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জ ও সিলেটে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বন্যার্তদের সহায়তা দেওয়ার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ ও সিলেটে দলের ৯ এমপিকে নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।---আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সমকালকে বলেছেন, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে দ্রুত উদ্ধার থেকে শুরু করে তাঁদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়াসহ সার্বিক কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন সারাদেশে বন্যাদুর্গতদের সেবায় ১৪০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে--- মেডিকেল টিম উপজেলা ও ইউনিয়নে গিয়ে কাজ করছে। ঢাকায় একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সবাই মিলেই কাজ করছে। স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবেলেটসহ অন্য চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সব নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও স্পিডবোটের মাধ্যমে তারা মানুষকে সেবা দিচ্ছে।(জিবিনিউজ২৪). সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী তৎপর রয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন, ৬টি মেডিকেল টিম,ও শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার কাজে নৌবাহিনী সদস্যরা নিজস্ব ক্রুজ ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। বিকেলের মধ্যে ৬০ জনের আরেকটি দল আরও ক্রুজ ও হেলিকপ্টারসহ উদ্ধার কাজে যুক্ত হবে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি বন্যাপ্লাবিত এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং তারা ছাড়া অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের পাশে নেই। মন্ত্রী বলেন, 'ঢাকায় বসে বসে কেউ টক শোতে বক্তৃতা দিচ্ছেন আর ঢাকায় নয়াপল্টনে কিংবা প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে অনেকে বিষোদগার করছেন, কিন্তু বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।'(সূত্র-বাসস)
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রথমেই পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাতে হবে । প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে । তাঁদের শুকনো খাবার যেমন চিড়া, গুড়, বনরুটি, বিস্কুটসহ বিশুদ্ধ পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও সরবরাহ করতে হবে । বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এধরণের বন্যা হয় যদিও এবারের বন্যার ব্যাপকতা শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনের সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উচিত, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্বভাবে জাতীয় এ সংকটের মোকাবেলা করা. আমরা প্রত্যাশা করি সরকার, বিরোধীদল, প্রশাসন ও এনজিওগুলো দায়িত্বশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এগিয়ে আসবে।
[লেখক : সিনিয়র রিসার্চ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, প্রাবন্ধিক ও রেড ডিয়ার (আলবার্টা, কানাডা ) নিবাসী]

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন