চলতি মাসের ২৭ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে ‘সর্দার ৩’ সিনেমাটি। সম্প্রতি এ সিনেমার ক্যামেরার পেছনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করে নিজেই বিতর্কের সূচনা করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। তবে কিছু দিন আগে জটিলতা বৃদ্ধি পায় গেরুয়াপন্থী ফিল্ম সংগঠন চিত্রপট কামগর অঘোরীর বয়কটের দাবিতে। আসলে একাধিক পাকিস্তানি শিল্পীকে এ সিনেমায় নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দিলজিৎ। এবার পাঞ্জাবি সুপারস্টারের সিনেমা ঘিরে আপত্তি তুলেছে ‘ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া’।
সম্প্রতি ভারতের পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে ভারতের মনে ক্ষোভ-বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে। যার কারণে রোষানলে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানি তারকাদেরও। প্রতিবেশী দেশের তারকাদের শোক প্রকাশ দেখে নেটপাড়ার একাংশ ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বলেও কটাক্ষ করেছে। শুধু তাই নয়, বারবার বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে পাকিস্তানের কোনো শিল্পীকেই ভারতে প্রবেশ করতে দিতে চাইছে না সিনেমা সংগঠনগুলো। এ অবস্থাতেই সিনেমা মুক্তির আগে বিতর্কের শিরোনামে এসেছে ‘সর্দার ৩’। কারণ দিলজিতের এ সিনেমায় হানিয়া আমির, নাসির চিন্যোতি, ড্যানিয়েল খাওয়ার এবং সেলিম আলবেলার মতো একাধিক পাকিস্তানের তারকা রয়েছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই দিলজিতের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে ক্ষিপ্ত ওই ফিল্ম সংগঠন।
আজ (১৩ জুন) শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে ‘এফডব্লিউআইসিই’র সভাপতি বিএন তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘যদি দিলজিৎ দোসাঞ্জ বা অন্যকোনো শিল্পী যদি ক্রমাগত এ ধরনের কাজ করতে থাকেন, তাহলে শুধু তাদের সিনেমার বিরুদ্ধেই নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হবে সেসমস্ত শিল্পীদের বিরুদ্ধে। আমাদের কাছে বিশ্বাসঘাতকদের কোনো স্থান নেই।’
বিএন তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন, ‘যারা দেশ বিরোধী কাজ করে চলচ্চিত্র দুনিয়া কোনোদিন তাদের সমর্থন করবে না। এমন লোকদের অবিলম্বে থামিয়ে দেওয়া দরকার, যারা ভারতে বসে বাইরের লোকদের সাহায্য করছে। এরকম একাধিক নাম আসছে আমাদের কাছে। তাই দেশের স্বার্থে যদি তারা পাশে না থেকে তাহলে ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’
এর আগে সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের ‘সর্দার ৩’ সিনেমাকে ছাড়পত্র না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল ফিল্ম সংগঠন।
দিন দুয়েক আগে বিজেপিপন্থী ফিল্ম সংগঠন সাফ জানিয়ে দেয়, ‘ভারতীয় সিনেমায় পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ আমরা মোটেই সহ্য করব না। তাই বিজেপি চিত্রপট কামগর অঘোরীর দাবি, ‘সর্দার ৩’ যেন কোনোমতেই সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পায়। এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা ভারতের ভাবাবেগ, মান-মর্যাদায় আঘাত করা।’ আর সেই প্রেক্ষিতেই বয়কটের দাবি তুলেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন। পাক মুলুকের তারকাদের কাস্ট করায় পাশাপাশি নেটপাড়াতেও দিলজিৎকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন