গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিটান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ বিশ্বাস পল্টুর কাছ থেকে প্রতারনা করে সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা হতিয়ে নিয়েছে বরুন দত্ত নামে এক প্রতারক।
মামলা সুত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ বিশ্বাস পল্টুর কাছ থেকে ইট ভাটার ১৬ চেম্বার ইট দেওয়ার কথা বলে লিখিত চুক্তির মাধ্যামে ১৭ লক্ষ টাকা ও পরে আরও সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করে স্বর্ন ব্যাবসায়ী প্রতারক বরুন দত্ত। টাকার জন্য প্রদীপ বিশ্বাস পল্টু বিজ্ঞ আদালতে প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করলে জীবন নাশের হুমকি ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করছে এই প্রতারক বরুন দত্ত। বরুন দত্ত গোপালগঞ্জ শহরের স্বর্নপট্রি এলাকার মাখন লাল দত্তের ছেলে।
জানা যায়, এ ঘটনায় ২৪ সালের ১১ ফেব্রæয়ারী গোপালগঞ্জ সদর থানায় সাধরণ ডায়েরী ও পরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ বিশ্বাস পল্টু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ বিশ্বাস পল্টু অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বড় ডোমরাশুর গ্রামে অবস্থিত মেসার্স ফুলমালা ব্রীকস্ ভাড়া নিয়ে ইট পোড়ানো ও বিক্রি করার কথা জানায় আমাকে বরুন দত্ত। সে একক মালিকানায় ভাটার ১৬ চেম্বার ইট যাহা ২ লক্ষ ৪০ হাজার পাকা ইট বিক্রি করার চুক্তিমানা করে ২০১৭ সলের ১৬ জুলাই আমার কাছ থেকে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা নেয় বরুন দত্ত। আমাকে ইট না দিয়ে গোপনে সব ইট বিক্রি করে দেয় বরুন দত্ত। পরে আমাকে ইট দিবে বলে তালবাহানা করতে থাকে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আবার আমার কাছ থেকে বিপদের কথা বলে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়। আমার টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে এবং টাকা নেওয়ার কথা অস্বিকার করে। পরে নিরুপায় হয়ে আমি আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা ফেরত’সহ প্রতারক বরুন দত্তের আইনানুগ বিচার দাবী করছি।
এব্যাপারে বরুন দত্ত বলেন, আমি সাহাপুর ইউনিয়নে মেসার্স ফুলমালা ব্রীকস্ ভাড়া নিয়ে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা ও স্ত্রীর গহনা এবং ধার করে আরও ৬০ লক্ষ টাকা মোট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যাবসা শুরু করি। প্রথম ২ বছর লোকসান করলে পরে আমার থেকে ইট ভাটার পূর্বের মালিক মিহির বল আমাকে আর ইট ভাটার চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় নাই। মিহির বল ও প্রদীপ বিশ্বাস পল্টু দুইজন আমার শহরের স্বর্নের দোকানে আসতো। সেভাবে আমি পল্টু বিশ্বাসকে চিনি। পরে পল্টু বিশ্বাসের সাথে ভালো সম্পর্ক হওয়ায় আমার ম্যানেজার হিসাবেও কাজ করেছেন আমার সাথে।
তিনি চুক্তিনামার সম্পকে আরও বলেন, তিনি ১৬ চেম্বার ইটের যে চুক্তিনামা করেছে তিনি যদি আমার কাছে টাকা পায় তাহলে সামাজিতভাবে বসুক। হিসাব করে তিনি টাকা পাবে নাকি আমি পাবো সেটা হিসাব করে নিক। এছাড়াও মিহির বলের বিরুদ্ধে আমি মামলা করে রায় পেয়েছি সে সকল অরজিনাল কাগজপত্র তিনি আটকিয়ে রাখেন। আমার দাবী পল্টু বিশ্বাস সামাজিকভাবে বসে এগুলো মিমাংসা করুক।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন