গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ শুরু থেকেই ‘স্বাস্থ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ‘বিলুপ্ত’ করেছে। জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ সোমবার এ কথা বলেছেন। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার তলালেং মোফোকেং সেই সঙ্গে মানবাধিকারকে ‘ঐচ্ছিক’ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছেন।
মোফোকেং জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, তার মাত্র কয়েক দিনে ‘চিকিৎসা অবকাঠামো অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
গাজায় ইসরায়েলি নিরলস বোমাবর্ষণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা কয়েক মাস ধরে খুবই সীমিত চিকিৎসা সরবরাহের মধ্যে ভয়ানক পরিস্থিতিতে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোফোকেং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নিযুক্ত একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ, যিনি জাতিসংঘের পক্ষে কথা বলেন না। তাঁর মতে, ‘এটি (যুদ্ধ) শুরু থেকেই স্বাস্থ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটি স্তরে স্বাস্থ্যের অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
’
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিরোধিতা বাড়ছে। যুদ্ধ ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং দুর্ভিক্ষের সতর্কতাসহ একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৭০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় ৩৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন