পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় আগামী ১৫ এপ্রিল রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে। নিউ ইয়র্কের একটি আদালত এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। আদালতের একজন বিচারক গত সোমবার (২৫ মার্চ) বলেছেন, ‘৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হয় দোষী সাব্যস্ত করা হবে আর না হয় মুক্ত করা হবে।
’
এ ঘটনায় ট্রাম্পের আইনজীবী টড ব্ল্যাঞ্চ বলেছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এই সময় তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা অন্যায়।’ স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলা নির্বাচনের হস্তক্ষেপ এবং ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করার জন্য করা হয়েছে। এমনটা ঘটতে দেওয়া ঠিক নয়।
’ তিনি আরো বলেন, ‘এই মামলা অমর্যাদাকর। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছি।’
পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলাটি ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের জন্য ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে যাওয়াকালীন বেশ কয়েকটি আইনি ঝামেলার মধ্যে একটি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে এবং নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ মামলায় আদালতকক্ষে তাঁকে হাজির হতে হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা মোট ৩৪টি অভিযোগের সব কটি অস্বীকার করেছেন তিনি।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ করার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের সঙ্গে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সম্পর্ক গোপন রাখার বিনিময়ে এই ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা করা হয়। স্টর্মি ড্যানিয়েলস নিজেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।
অর্থের বিনিময়ে মুখ বন্ধ রাখতে ছদ্মনামে একটি চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্প ও ড্যানিয়েলস। সেখানে ট্রাম্পের নাম ডেভিড ডেনিসন ও ড্যানিয়েলসের নাম পেগি পিটারসন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। চুক্তিপত্রটি তৈরি করেছিলেন আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
এদিকে সম্পদ বাজেয়াপ্তের শঙ্কা থেকে বেঁচে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতের নির্দেশে ৪৬ কোটির বদলে আপাতত তাকে দিতে হবে ১৭ কোটি ডলারের বন্ড। বিপুল অঙ্কের বন্ড জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ট্রাম্প। সোমবার (২৫ মার্চ) নিউ ইয়র্কের আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আপাতত ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বন্ড জমা দিতে হবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণসুবিধা পেতে সম্পত্তির পরিমাণ দেখিয়েছেন অতিরঞ্জিত করে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের দাতাদের কাছ থেকে ফান্ড তোলার সময় ভুল তথ্য দিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের প্রতারণা মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। সুদসহ তা দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন