ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী’ হাসপাতালে শিরোনামে সংবাদটিবিভিন্ন অনলাইন পোর্টলে প্রকাশিত হলে স্থানীয়ভাবে তোলপাড় হয়। এতে উভয়ের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। এরপর সেই শিক্ষার্থী ফিরল ক্লাসে।
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থী মামুন মিয়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বন্ধুদের সাথে ক্লাস করেছে।
মামুন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের পুটিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও একই ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড ভেঙে ফেলা শিক্ষার্থী মামুন মিয়া বিদ্যালয়ে ফিরে ক্লাস করেছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মাঝে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল তা নিরসন হয়েছে। শিক্ষার্থী মামুন মিয়া তার ভুল বুঝতে পেরেছে।
তার কয়েকজন সহপাঠী বলেন, মামুন বিদ্যালয়ে ফিরে আসায় আমরা খুব খুশি। তাকে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। সেদিনের বিষয়টি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা যদি সেদিন দুষ্টামি না করতাম তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না। এখন থেকে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নিজেদের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করবো।
শিক্ষার্থী মামুন মিয়া বলেন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে গিয়ে ক্লাসরুমের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ডটা অসাবধানতাবশত ভেঙে যায়। বিষয়টি হেড স্যার জানতে পেরে আমাকে শাসন করেছে। তিনি শিক্ষক হিসেবে আমাকে শাসন করেছে। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে আমার পরিবার আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে ভুল বুঝতে পেরে আজ রোববার স্কুলে এসেছি। কখনো প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পদ ক্ষতি করবো না।
মামুন আরও বলেন, আজ ক্লাসে ফিরে মনে হয় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। হেড স্যারসহ সব স্যার আমার খোঁজ নিয়েছে। সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ।
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আমিন সরকার বলেন, আমার ছাত্র মামুন আজ স্কুলে এসে ক্লাস করেছে। বিদ্যালয়ের সুইচ বোর্ড ভেঙে ফেলায় আমি তাকে শাসন করেছিলাম। বুঝতে পারিনি বিষয়টি এতো গভীরে যাবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে সব দিক বিবেচনা করা আমার উচিত ছিল।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন