জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস’র চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, আমরা সামাজিকভাবে ভঙ্গুর, স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছি। মানব সভ্যতার ইতিহাসের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন দান ও সহযোগিতার পথ বেশি বিস্তৃত, কিন্তু আমরা উল্টোটাই করছি।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত দুই দিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘পিস থ্রো ইন্টার-ফেইথ ডায়ালগ, কালচার অ্যান্ড হ্যারিটেজ’ শীর্ষক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের এই শুভেচ্ছা দূত।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আমরা অন্য গ্রহে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যখন বেছে নিয়েছি আমাদের নিজের গ্রহকে ধ্বংসের পথ। আমরা এমন বিশ্বাস ও কার্যক্রম লালন করছি, যা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নের পরিবর্তে অন্যকে কষ্ট দিচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামাজিক সমতা ও সম্প্রীতি অর্জনে গোটা জীবন শান্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন একমাত্র শান্তির মাধ্যমেই সততা, ন্যায়বিচার ও সমতা অর্জন করা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি দর্শনের উল্লেখযোগ্য দিকও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তার নাতনী সায়মা ওয়াজেদ।
জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর স্থায়ী পর্যবেক্ষক ডেভিড ফার্নান্দেজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত দু’দিনের এই বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ১৬ দফা ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস গর্ডন ব্রাউনের একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী গো চক টং, বুলগেরিয়ার রাজনীতিবিদ ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক আইরিনা জর্জিয়েভা বোকোভা এবং সিনিয়র ফেলো হোসাইন হাক্কানীও বক্তব্য রাখেন।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন এবং পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোস রামোস হোর্তাসহ ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি ও সশরীরে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন