দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সজনের বাম্পার ফলন ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

 

 

 

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ   ১০ জেলায়এ বছর সজনেরবাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসি ।সজনে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে ‘সাজনা’ নামে অধিকহারে পরিচিত। একটা সময় ছিলো যখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ   ১০ জেলায়  উপজেলায় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সারি সারি সজনে গাছ দেখা যেত কিন্তু সেই দৃশ্য এখন আর নেই। এ কারণে বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকা সত্তেও সরবরাহ অনেক কমে গেছে। ফলে এর লোভনীয় স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ   ১০ জেলা উপজেলায় এ চলতি গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে সজনে ডাটার ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় এবার গত বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। তরকারি হিসেবে সজনের জুড়ি নাই, তাইতো এর কদর রয়েছে সর্বত্র। সমগ্র দেশে সজনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সজনে চাষিদের মুখে হাসি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,  চলতি মৌসুমে যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় কৃষি বিভাগ বলছে,সজনে ডাটার ব্যাম্পার ফলনধরেছে।

অযত্ন অবহেলায় যত্রতত্রই বেড়ে ওঠে সজনে গাছ। বীজ ফেলতে হয় না, কোনো রকম পরিচর্চা করতে হয় না। শুধু মাত্র গাছের ডাল কেটে শুকনো উচুঁ যে কোনো স্থানে পুঁতে রাখলেই ফলন পাওয়া যায়। সজনেকে স্থানীয় ভাষায় সাজনা বলে। এ সাজনা বছরে একবারই ফলে। এদেরও মধ্যে আরেকটা জাত আছে যাকে স্থানীয়রা বাজনা বলে থাকে।
সাজনার অনেক ওষুধী গুণও আছে। তাই একে অনেকে ওষুধী গাছও বলে থাকেন। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ওষুধি সবজি হিসেবেও ব্যাপক সমাদৃত। এছাড়া সজনে গাছের ছাল এবং পাতা রক্তামাশয়, পেটের পীড়া ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে।

সজনে সবজি বিক্রয় করে তারা আয়ও করেছে অনেক। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ ১০জেলার উপজেলার আনাচে-কানাচে, গ্রামে-গঞ্জে সবখানে গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে সজনে ডাটা ধরেছে। সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন উপজেলার যে কোসো হাট বাজার থেকে শত শত মণ সজনে ডাটা আমদানি হচ্ছে। দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও প্রতি মণ সজনে পাইকারিভাবে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।

 জানা যায়, মোরেলগঞ্জের পৌরসভার ভাইজোড়া গ্রামের মুজাহার আলী তালুকদার  তার ৩টি গাছ থেকে সজনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।  

 এ ব্যাপারে বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় সর্বত্র সজনে চাষে উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া রয়েছে।অধিক পরিমাণে সজনে গাছ রোপণ করে নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত সজনে বিক্রি করে আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হতে পারেন স্থানীয় চাষীরা।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন