জেলায় জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন গম্ভীরা গানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আম মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

জাকির হোসেন পিংকু,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শল্লা গ্রামে গৃহহীণদের জন্য নির্মিত ৩৬টি ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই তাঁর সম্মানে পরিবেশিত ঐতিহ্যবাহী  ও জনপ্রিয় লোকজ গম্ভীরা গান উপভোগ করেন। শনিবার(২৩’জানুয়ারী) দুপুর পৌনে ১২টার দিক থেকে প্রায় ২০ মিনিট অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকে তিনি গম্ভীরা গানের মাধ্যমে গৃহহীনদের জমি ও ঘর প্রদানসহ কর্মসংস্থানের প্রশংসা  করে ্রতাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসার আমন্ত্রণ জানালে তিনি আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করে আম মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভ্রমণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী গম্ভীরার প্রশংসা করে বলেন, ১৯৭৪ সালে নাটোরে বঙ্গবন্ধ’ুর সাথে তিনি প্রথম নানা-নাতি’র গম্ভীরা উপভোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এতদিন সন্তানদের নিয়ে ঠিকানাবিহীন এখন ঘর পাওয়া শারিরিক প্রতিবন্ধী ফাতেমা বেগমের অনুভুতি শোনেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজেই কথা বলেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন মন্ডলের সাথে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর খোঁজ নেন। মইনুদ্দীন মন্ডল এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঘর দেয়ার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং গৃহহীনদের জন্য জেলা পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে ৩০টি ঘর দেয়ার কথা জানান। তিনি শীতার্ত মানষ ও করোনা মোকাবেলায় সরকারের সাথে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও জানান।
প্রধানমন্ত্রী এরপর জেলা আ’লীগ সেক্রেটারী ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের বক্তব্য শুনতে চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন,তাদেও কিছু দাবী-দাওয়া চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। এ ছাড়া তিনি হিজড়া ও হরিজন সম্প্রদায়ের পূণর্বাসন ও আবাসনের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি ভূমিহীনদের খোঁজ রাখার অনুরোধ করেন।এ ব্যাপারে বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপজেলা নাজমুল ইসলাম সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গম্ভীরা,আম,কাঁসা,পিতল,নকশী কাঁথা ও রেশমের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১২ বিঘা বেদখল জমি উদ্ধার করে প্রথম ধাপে ৮টি স্থানে গুচ্ছাকারে ১৩০টি ঘর নির্মিত হয়েছে।প্রশস্ত পাকা প্রবেশ পথ,বিদ্যূৎ ও পানির ব্যবস্থাসহ ঘরগুলোতে গাছ লাগানো হয়েছে। ্ঘর বরাদ্দে বিশেষ ব্যাক্তিদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ঘর পেয়েছেন ৮ভিক্ষুক, ৮প্রতিবন্ধী ও ৪২ জন প্রতিবন্ধী।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার,জেলা প্রশাসক মঞ্জুলল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবসহ সরকারী কর্মকর্তা ও সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জেলার ৫ উপজেলায় ১.৩১৯টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর বিতরণের মধ্য দিয়ে জেলায় কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়। 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন